‘মিনি ক্যাসিনোটি’ দেড় বছর ধরে চলছিল: র‍্যাব

আশুলিয়ার কাইচাবাড়ি এলাকার ‘মিনি ক্যাসিনো’ থেকে জব্দ করা সামগ্রী।ছবি: র‍্যাবের সৌজন্যে

ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার কাইচাবাড়ি এলাকার ‘মিনি ক্যাসিনোটি’ প্রায় দেড় বছর ধরে চলছিল বলে জানিয়েছে র‍্যাব-৪।

আজ রোববার রাজধানীর পাইকপাড়ায় র‍্যাব-৪-এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র‍্যাব।

ক্যাসিনোটিতে গতকাল শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ২১ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৪। সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৪ জানায়, গতকাল অভিযানকালে ক্যাসিনোটির দুই মালিককে পাওয়া যায়নি। তাঁরা পলাতক।

রাজধানীর পাইকপাড়ায় র‍্যাব-৪-এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন।
ছবি: র‍্যাবের সৌজন্যে

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে আশুলিয়ার কাইচাবাড়ির ওই মিনি ক্যাসিনোতে ঝটিকা অভিযান চালানো হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিছুর রহমানের উপস্থিতিতে ও জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাজেদুল ইসলামের নেতৃত্বে র‍্যাব-৪-এর একটি চৌকস অভিযানকারী দল এই অভিযান চালায়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মিনি ক্যাসিনোটি থেকে প্লেয়িং কার্ডসহ একটি ক্যাসিনো বোর্ড, ১০০টি ইয়াবা বড়ি, ১২ ক্যান বিদেশি বিয়ার, ২২টি মোবাইল ও নগদ ৩৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। হাতেনাতে আটক হন ২১ জন জুয়াড়ি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. আজাদুল ইসলাম (৫০), মো. হাবিবুর রহমান (৪৭), মো. লিটন (৪৫), মো. বিল্লাল (৩৮), মো. আবদুল আলিম (৩৫), মো. এখলাছ (৩৫), মো. রুবেল মিয়া (৩৩), মো. মইদুল ইসলাম (৩২), মো. সোহেল মোল্লা (৩২), মো. আসাদুল ইসলাম (৩০), মো. জুয়েল (২৮), মো. সবুজ মিয়া (২৮), মো. শরিফ (২৮), মো. মঈন মিয়া (২৮), মো. রনি ভূঁইয়া (২৫), মো. রবিউল মোল্লা (২৪), মো. ফজলে রাব্বি (২২), মো. আবু তালেব (২০), মো. দিয়াজুল ইসলাম (২০), মো. শিপন (২০) ও মো. মাসুদ রানা (২০)।

আশুলিয়ার কাইচাবাড়ি এলাকার ‘মিনি ক্যাসিনো’ থেকে আটক হওয়া ব্যক্তিরা।
ছবি: র‍্যাবের সৌজন্যে

র‍্যাব-৪ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জুয়ায় যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব-৪-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম বলেন, ক্যাসিনোটি চালাচ্ছেন বিপ্লব ও হাসান নামের দুই ব্যক্তি। গতকাল তাঁদের বাসায়ও অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেখানেও তাঁদের পাওয়া যায়নি। তাঁদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

র‍্যাব-৪ জানায়, অবৈধ জুয়ার আসরের ক্ষতিকর প্রভাব রোধে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে জুয়ার আসর উচ্ছেদে অভিযান চলবে।