মুঠোফোনে তালাক বলায় হিল্লা বিয়ের ফতোয়া
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় প্রবাসী এক ব্যক্তি মুঠোফোনে স্ত্রীকে তালাক বলার পর ভুল বুঝতে পেরে স্ত্রীর সঙ্গে ঘরসংসার করতে চাইলেও গ্রাম্য মাতব্বরেরা হিল্লা বিয়ের ফতোয়া দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্দেশ না মানায় মাতব্বরেরা ওই গৃহবধূকে ‘একঘরে’ করে রাখার নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে গত বুধবার শাজাহানপুর থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ গতকাল চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন ফজলুর রহমান, আনসার আলী, মোজাফফর আলী ও আবদুল আলিম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বছর দেড়েক আগে ওই গৃহবধূর স্বামী মালয়েশিয়ায় যান। বিদেশ যাওয়ার ছয় মাসের মাথায় মনোমালিন্য হওয়ায় মুঠোফোনে গৃহবধূর স্বামী রাগের মাথায় তাঁকে তালাক বলেন। বিষয়টি স্বামীর বড় ভাই জেনে ফেলেন। স্বামী ভুল বুঝতে পেরে পরদিনই স্ত্রীকে ফোন করে অনুশোচনা জানিয়ে ক্ষমা চান। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত থাকলেও প্রায় এক বছর পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে গ্রামের মাতব্বরেরা সালিস ডাকেন। সেখানে ওই গৃহবধূকে ‘হিল্লা বিয়ে’ ছাড়া স্বামীর সংসার করা যাবে না বলে ফতোয়া জারি করা হয়। এতে রাজি না হলে ওই দিন থেকেই দুই সন্তানসহ ওই গৃহবধূকে ‘একঘরে’ করা হয়। ভাশুরের প্ররোচনায় গত ২ অক্টোবর মৌলভি ডেকে স্বামীর সঙ্গে মুঠোফোনের মাধ্যমে ওই গৃহবধূর আবার বিয়ে পড়ানো হয়।