মুঠোফোন নিয়ে ঝগড়া, কিশোরের গায়ে আগুন

আগুন। প্রতীকী ছবি
আগুন। প্রতীকী ছবি

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুঠোফোন নিয়ে একই এলাকার দুই কিশোরের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এর জের ধরে ওই দুই কিশোর এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।

আহত কিশোরের নাম মাহফুজ ঢালী (১৩)। গতকাল রোববার বিকেলে ওই কিশোরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের পশ্চিম বকশির চর ভারানীকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মাহফুজ ওই এলাকার মো. কালাম ঢালীর ছেলে এবং বকশিরচর দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

মাহফুজের বড় ভাই মাসুদ ঢালী বলেন, শনিবার সকালে একটি মুঠোফোন নিয়ে একই এলাকার ১৪ বছরের দুই কিশোরের সঙ্গে মাহফুজের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওই দিন সন্ধ্যায়ওই দুই কিশোর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মাহফুজকে বাড়ি থেকে ঢেকে নিয়ে যায়। তারা মাহফুজকে পশ্চিম বকশির চর ভারানীকান্দা এলাকায় এক দোকানের পেছনে নিয়ে যায়। এরপর মাহফুজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মাহফুজ ডাক-চিৎকার করতে থাকলে ওই দুই কিশোর পালিয়ে যায়।

শনিবার রাতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় অগ্নিদগ্ধ মাহফুজকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রোববার বিকেলে মাহফুজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক এম এ আজাদ জানান, আগুনে মাহফুজের শ্বাসনালিসহ শরীরের ২৩ শতাংশ পুড়ে গেছে।

ঘটনাস্থলটি বাবুগঞ্জ উপজেলায় হলেও এলাকাটি বরিশাল নগর পুলিশের বিমান বন্দর থানার আওতায় পড়েছে। বিমান বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এম আর মুকুল গতকাল দুপুরে বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পরে ঘটনা ঘটলেও তাঁরা বিষয়টি রোববার বিকেলে জানতে পেরেছেন। খবর পেয়ে নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোখতার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় আহত ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে ওই দুই কিশোরকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।