মুঠোফোনে প্রেম, ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ

তরুণীর অভিযোগ, রোববার রাতে বিয়ের কথা বলে তাঁকে যমুনেশ্বরী নদীর ধারে নিয়ে যান। সেখানে দুজনের সহায়তায় তিনজন তাঁকে ধর্ষণ করেন।

রংপুরের তারাগঞ্জে এক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুঠোফোনে ডেকে এনে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ রোস্তম আলী (৩৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

ওই তরুণী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, তারাগঞ্জের বিবাহিত সৌরভ ইসলামের (২৮) সঙ্গে ছয় মাস আগে মুঠোফোনে পরিচয় হয় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ২০ বছর বয়সী এক তরুণীর। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৫ দিন আগে সৌরভ ওই তরুণীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। গত শনিবার ওই তরুণীকে সৌরভ তাঁর বাড়িতে আসতে বলেন। পরের দিন রোববার সকালে ওই তরুণী কিশোরগঞ্জ থেকে তারাগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। তরুণীকে বাসস্ট্যান্ড থেকে সৌরভ নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। এ নিয়ে সৌরভের পরিবারে চরম অশান্তি হয়।

তরুণীর অভিযোগ, রোববার রাতে বিয়ের কথা বলে তাঁকে যমুনেশ্বরী নদীর ধারে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকে বসেছিলেন রোস্তম আলী (৩৪) ও দুলু মিয়া (৪৫)। তাদের দুজনের সহায়তায় সৌরভ ইসলাম, সৌরভের বন্ধু সোহরাওয়ার্দী হোসেন (৩৫) ও আসাদুল ইসলাম (৩০) মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে সবাই পালিয়ে যান। খবর পেয়ে তারাগঞ্জে থানার পুলিশ তরুণীকে উদ্ধার করে। তরুণী বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে থানায় মামলা করেন।

তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, তরুণীকে উদ্ধারের পর আসামিদের ধরতে একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।