মেয়েদের সুইমিংপুলে সাঁতার কাটে ছেলেরা

রাজশাহীতে মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের সুইমিংপুলে পুরুষদেরও সাঁতারের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, দিনে মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের জন্য বেশি সময় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
রাজশাহী মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ভেতরে নির্মিত এই সুইমিংপুলটি রাজশাহী বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালনা করে।
গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই সুইমিংপুলে গিয়ে দেখা যায়, ফটকে টিকিট কাউন্টারে একজন লোক টাকা নিয়ে রসিদ দিচ্ছেন। ৩০ টাকার এই রসিদ নিয়ে এক ঘণ্টা সাঁতার কাটা যায় এখানে। যুবক থেকে মাঝবয়সী লোকদের পুলে সাঁতার কাটতে দেখা গেল।
পরিচালকদের নিয়ম অনুযায়ী, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছেলে সাঁতারুরা সাঁতার কাটতে পারেন। বেলা আড়াইটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত মেয়েদের জন্য বরাদ্দ থাকে। আবার সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ছেলেদের জন্য সময় বরাদ্দ থাকে।
ফটকে একটি নোটিশ লাগানো রয়েছে। এতে লেখা রয়েছে, এখানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা আধুনিক পদ্ধতিতে ছেলে ও মেয়েদের সাঁতার শেখানো হয়। সময়কাল ২৪ দিন। ফি দুই হাজার টাকা। সাপ্তাহিক ছুটি মঙ্গলবার। শৌখিন সাঁতারুর প্রতি ঘণ্টা ফি ৫০ টাকা। মাসিক সদস্য ফি এক হাজার টাকা, ফ্যামিলি প্যাকেজ রয়েছে এক হাজার টাকার। সবারই প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে সাঁতার কাটার সুযোগ থাকে।
নিয়মকানুনের মধ্যে লেখা রয়েছে, সাঁতারের পোশাক ও প্রশিক্ষক ছাড়া পুলে নামা নিষেধ। পুলে নামার আগে গোসল করতে হবে। অহেতুক কথা বলা যাবে না, সাঁতার শেষে আড্ডা দেওয়া যাবে না। সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দেখা গেল, এই নিয়মাবলির কোনোটাই কেউ মানছেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মেয়ে সাঁতারু অভিযোগ করেন, মেয়েদের সুইমিংপুলে ছেলেরা সাঁতার কাটবে কেন! এখানে ছেলেদের জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার আলাদা সুইমিংপুল রয়েছে। তা ছাড়া বেসরকারি একটা পুল আছে। তারা সেখানে সাঁতার কাটতে পারে। মেয়েদের সাঁতার কাটার এই একটিই জায়গা। রাজশাহী বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া সাধারণ সম্পাদক মাকসুদা আলম প্রথম আলোকে বলেন, পুলটা তাঁরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছেন। পুরুষদের ব্যবহার করতে না দিলে তাঁরা ভাড়ার খরচই ওঠাতে পারবেন না।