মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে গিয়ে মিলল গাঁজা

কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকায় মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে গিয়ে সাড়ে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে ট্রাফিক পুলিশ। গাঁজা বহনের অভিযোগে মোটরসাইকেলের চালক পলাশ শেখকে (২১) আটক করা হয়েছে। তবে পলাশের সঙ্গে থাকা আরেক যুবক দৌড়ে পালিয়ে গেছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মোটরসাইকেলের চালক পলাশ শেখ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বগাইল গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে। মোটরসাইকেল থেকে পালিয়ে যাওয়া যুবকের নাম রবিউল ইসলাম। তাঁর বাড়িও একই এলাকায়।

কুষ্টিয়া ট্রাফিক কার্যালয়ের পরিদর্শক ফকরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকে ট্রাফিক কার্যালয়ের সামনে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছিল। সাড়ে ১০টার দিকে সার্জেন্ট মাসুম বিল্লাহ ও আরাফাত আলী একটি মোটরসাইকেলকে থামার নির্দেশ দেন। এ সময় ওই মোটরসাইকেলে চালকের পেছনে আরেক আরোহী ছিলেন। দুজনের পিঠে ব্যাগ ছিল। মোটরসাইকেলটি থামানোর পর কাগজপত্র দেখতে চাইলে পেছনের আরোহী ব্যাগ ফেলে দৌড় দেন। এ সময় চালক পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুটি ব্যাগ তল্লাশি করে দুটি পুটলির ভেতর সাড়ে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। মোটরসাইকেলটির নিবন্ধন করা ছিল না। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পলাশ শেখ জানান, তাঁরা কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে গাঁজা নিয়ে গোপালগঞ্জে যাচ্ছিলেন।


এ ঘটনায় সার্জেন্ট আরাফাত আলী গাঁজাসহ পলাশ শেখকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সোপর্দ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করেন। পলাশকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।