মৌখিক পরীক্ষায় ধরা পড়ল লিখিত পরীক্ষার্থী ছিলেন অন্যজন

প্রতীকী ছবি

নিজের চাকরির পরীক্ষায় বসিয়েছেন বন্ধুকে। লিখিত পরীক্ষা বন্ধু দিলেও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেছিলেন পরীক্ষার্থী নিজেই। পরীক্ষা বোর্ডের সদস্যদের সন্দেহ হলে ধরা পড়েন এই পরীক্ষার্থী। শেষ পর্যন্ত যেতে হয়েছে কারাগারে।

ঘটনা নৌপরিবহন অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক পদের নিয়োগ পরীক্ষার। পরীক্ষার্থীর নাম জাহিদ হোসেন। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার অভিযোগে আজ মঙ্গলবার মতিঝিল থানায় মামলা করেছেন অধিদপ্তরের প্রসিকিউটিং অফিসার বেল্লাল হোসাইন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় (১৬ মে) নৌপরিবহন অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থী মো. জাহিদ হোসেন ১৩ মে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ হয় পরীক্ষা বোর্ডের সদস্যদের। পরে পরীক্ষার্থীকে মৌখিক পরীক্ষায় করা প্রশ্নের উত্তর কাগজে লিখে দিতে বলেন তাঁরা। লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মিলিয়ে দেখা যায় হাতের লেখার মিল নেই। বোর্ডের সদস্যরা জাহিদ হোসেনকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি জানান, তাঁর হয়ে লিখিত পরীক্ষায় বসেছিলেন বন্ধু রাহুল। পরে অপরাধ স্বীকার করে তিনি লিখিত স্বীকারোক্তিও দেন।

রাতেই পুলিশে সোপর্দ করা হয় জাহিদ হোসেনকে। আজ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জাহিদ হোসেন ও তাঁর বন্ধু রাহুলের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ আইন ১৯৮০ এর ৩/১৩ ধারা মামলা করা হয়েছে। তবে জাহিদ ও রাহুলকে বন্ধু উল্লেখ করা হলেও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের এজাহারে জাহিদের বয়স ১৮ ও রাহুলের বয়স ২৫ বলা হয়েছে। মামলায় রাহুলের পূর্ণ নাম, মা–বাবার নাম ও পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখ নেই। জাহিদ হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।