রংপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার পর হত্যা, আসামির স্বীকারোক্তি

অস্বাভাবিক মৃত্যু। প্রতীকী ছবি
অস্বাভাবিক মৃত্যু। প্রতীকী ছবি

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে মামুন মিয়া (১৮) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর আজ রোববার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

গ্রেপ্তার মামুনের বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রামে। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।

মামুনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে স্কুলছাত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন মামুন। স্বীকারোক্তিতে মামুন বলেন, ১০ দিন আগে থেকে মেয়েটিকে অনুসরণ করে আসছিলেন তিনি। গতকাল শনিবার সকালে মেয়েটিকে একা পেয়ে টেনে জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে যান। একপর্যায়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে চিৎকার দেয় মেয়েটি। তখন মেয়েটির মুখ চেপে ধরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। জবানবন্দি দেওয়ার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি সরেস চন্দ্র।

গতকাল সকাল সাতটার দিকে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় ওই স্কুলছাত্রী। এরপর সকাল নয়টার দিকে বাড়ির পাশে একটি জঙ্গলের ভেতর গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে শনিবার বিকেলে পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।