রাজশাহীতে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় বরখাস্ত ফাদার গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর তানোর উপজেলার এক গির্জায় তিন দিন এক কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বরখাস্ত ফাদার প্রদীপ গ্রেগরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে মঙ্গলবারই বরখাস্ত করে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী নগরের ওমরপুর, আমচত্তর এলাকার বিশপ হাউস থেকে রাতে প্রদীপকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, প্রদীপকে বুধবার সকালেই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
র‍্যাব-৫-এর রাজশাহীর কোম্পানি অধিনায়ক এটিএম মাইনুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের খবর জানতে পারার পর থেকেই প্রদীপ গ্রেগরীকে আটকের জন্য তাঁরা চেষ্টা শুরু করেন। পরে রাতেই তাঁকে বিশপ হাউস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে তানোর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

রাজশাহী ডাইয়োসিস এর বিশপ জের্ভাস রোজারিও প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার সকালেই প্রদীপ তাঁর কাছে এসেছিলেন। প্রদীপ দাবি করেছেন তিনি দোষী নন। পাগলামি করে মেয়েটি তাঁকে ঝামেলায় জড়িয়েছে। বিশপ বলেন, এই পরিস্থিতিতে সকালেই প্রদীপকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আপাতত তাঁকে দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা হবে। পরে যদি প্রমাণিত হয় যে প্রদীপ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না তাহলে তাঁকে পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ির পাশের গির্জার কাছে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে পরের দিন রোববার তানোর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মেয়েটির ভাই। এরপর সোমবার দুপুরের পর জানা যায়, নিখোঁজ কিশোরী গির্জার ফাদার প্রদীপের ঘরে বন্দী অবস্থায় আছে। পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গির্জা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। রাতে ওই কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে তানোর থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় ফাদার প্রদীপ গ্রেগরীকে আসামি করা হয়।