রাবির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির মামলায় মাহফুজুর কারাগারে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধর্ষণকারীদের আজীবন বহিষ্কারসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, রাজশাহী, ১২ ফেব্রুয়ারি। ছবি: শহীদুল ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধর্ষণকারীদের আজীবন বহিষ্কারসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, রাজশাহী, ১২ ফেব্রুয়ারি। ছবি: শহীদুল ইসলাম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির মামলায় মূল আসামি মো. মাহফুজুর রহমানকে রিমান্ড শেষে আজ বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার রাজশাহীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মাহফুজুরের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘মাহফুজুরকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার রিমান্ড শেষ হয়েছে। তবে সে ঘটনার কোনো স্বীকারোক্তি দেয়নি। বুধবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

পুলিশ এই মামলায় এখন পর্যন্ত মাহফুজুরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। তাঁরা সবাই কারাগারে আছেন। তবে পুলিশ বিশাল নামে এক অভিযুক্তকে এখনো আটক করতে পারেনি।

মাহফুজুরকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ ওঠা মাহফুজুর রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা এই দাবি জানান।

কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী সেলের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, আইনের ফাঁকফোকর বন্ধ করা, নারীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানান। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। তারা ‘যৌন হয়রানিকে না বলুন’, ‘নারী হওয়া কি আমার অপরাধ’, ‘ভুলবেন না আমিও মানুষ’, ‘নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা নয়’ ‘ড্রেসআপ ভালো না, ধর্ষণ জাস্টিফাইড?’সহ নানা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।