লংগদুতে গুলিতে ইউপিডিএফের কর্মী নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সদর ইউনিয়নে দুর্বৃত্তদের গুলিতে এবার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মী নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম পবিত্র চাকমা ওরফে তোষন (৪০)।

এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ জনসংহতি সমিতি ( এমএন লারমা) দায়ী করেছে। তবে এমএন লারমা তা অস্বীকার করেছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় স্থানীয় আঞ্চলিক দলগুলোর সংঘাতে গত ১৩ মাসে ৪৭ জন নেতা-কর্মী নিহত হলেন। আজকের হত্যাকাণ্ডের আগে ১৯ জানুয়ারি খাগড়াছড়ির জেলা সদরে পেরাছড়া গ্রামে রনীক ত্রিপুরা নামে ইউপিডিএফের কর্মী নিহত হন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ দুপুর দুইটার দিকে ইউপিডিএফ কর্মী পবিত্র চাকমা সাংগঠনিক কাজে উপজেলার ভুইয়োছড়ায় যান। এ সময় ১০ থেকে ১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত তাঁর ওপর অতর্কিতে গুলি চালায় হয়। এতে ঘটনাস্থলে পবিত্র চাকমা নিহত হন। নিহত পবিত্র চাকমা ভুইয়োছড়ায় পার্শ্ববর্তী গ্রাম হেমরঞ্জন পাড়ার শান্তি প্রিয় চাকমার ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পবিত্র চাকমার লাশ উদ্ধার করে।

ইউপিডিএফের তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) দায়ী করে দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা এ ঘটনায় তার সংগঠন জড়িত নয় দাবি করে বলেন, ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জন কুমার সামন্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পবিত্র চাকমা নামে এক ইউপিডিএফ কর্মীকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ এ ঘটনায় মামলা করতে আসেনি।