লালমনি এক্সপ্রেসে অজ্ঞান পার্টির শিকার যাত্রী

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঢাকা থেকে লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে রোববার রাতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন এক যাত্রী। তাঁকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অজ্ঞান পার্টির শিকার ওই ব্যক্তি হলেন মাসুদুর রশিদ বিপ্লব (৪৫)। তিনি লালমনিরহাট শহরের আদর্শপাড়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুর রহিমের ছোট ভাই।

পারিবারিক সূত্র জানায়, মাসুদুর রশিদ রোববার রাতে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে লালমনি এক্সপ্রেসে বাড়ির উদ্দেশে আসছিলেন। রাত সাড়ে ১২টার পর থেকে তাঁর কী হয়েছে সেটি তিনি এখনো পুরোপুরি বলতে পারছেন না। বর্তমানে তিনি লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্রে রোগের কারণ ‘আননোন পয়জনিং’ লেখা রয়েছে।

মাসুদুর রশিদের স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, পরিচিত একজন রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে মাসুদুরকে অচেতন অবস্থায় অটোরিকশাযোগে বাসায় পৌঁছে দেন। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে আজ সোমবার দুপুরে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

লালমনিরহাট জিআরপি থানার পরিদর্শক আদম আলী বলেন, লালমনি এক্সপ্রেস আজ সকাল ১০টা ৫ মিনিটে লালমনিরহাট স্টেশনে থামে। এরপর যাত্রীরা সবাই নেমে যান। একজন যাত্রী নামছেন না জানতে পেরে সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় সেই যাত্রী অচেতন। পরে তাঁকে প্ল্যাটফর্মে নামানো হয়। এ সময় তাঁর কাছে পাওয়া একটি কার্টনের গায়ে মুঠোফোন নম্বর দেখে ফোন দেওয়া হয়। তাঁর মাধ্যমে অচেতন ব্যক্তিকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

মাসুদুর রশিদের স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, অজ্ঞান পার্টির লোকজন তাঁর স্বামীর কাছ থেকে দুটি মুঠোফোন, ৭ হাজার টাকা ও কাপড়চোপড় ভর্তি একটি ব্যাগ নিয়ে গেছে।

তিন দিন আগে একই ট্রেনে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন আবেদ আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। পুলিশ পরিদর্শক আদম আলী বলেন, এ ঘটনায় গত শনিবার মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে, তদন্তের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।