লিখিত পরীক্ষায় লেখা উত্তর মৌখিক পরীক্ষায় পারেননি

প্রতীকী ছবি

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের কারণে পাঁচ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের আজ শনিবার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

আটক পরীক্ষার্থীরা হলেন নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার গরমা গ্রামের আল মামুন তালুকদার, ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেওলা শিবপুর গ্রামের মো. হামিম, ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামের মো. আকরাম হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মজলিশপুর গ্রামের মো. তাকরিম আহমেদ ও ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের বিরই গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ৮টি কেন্দ্রে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আজ মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় এই পরীক্ষার্থীদের আচরণ এবং তাঁদের দেওয়া উত্তরে পরীক্ষকদের সন্দেহ হয়। এ সময় গতকালের লিখিত পরীক্ষায় তাঁরা যেসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, সেগুলো থেকে জানতে চাইলে মৌখিক পরীক্ষায় তাঁরা তা বলতে পারেননি। এ সময় বোর্ডের সদস্যরা তাঁদের হাতের লেখা মিলিয়ে দেখেন যে উত্তরপত্রের হাতের লেখা তাঁদের নয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ আল মামুন তালুকদার স্বীকার করেন যে তাঁর লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন জনৈক সৈকত জামান। অন্য পরীক্ষার্থী হামিম স্বীকার করেন যে তাঁর পরিবর্তে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মো. সুমন খন্দকার। পরীক্ষার্থী আকরাম হোসেন জানান, লিখিত পরীক্ষায় তাঁর পরিবর্তে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার জুয়েল মাতুব্বর অংশ নেন।

পরীক্ষার্থী তাকরিম আহমেদ স্বীকার করেন, ১০ হাজার টাকার চুক্তিতে তাঁর পরীক্ষা দিয়েছেন জনৈক ওমর ফারুক। অন্য পরীক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন স্বীকার করেন, বিআরডিবিতে চাকরিরত জনৈক আলমগীর কবির সরকারের মাধ্যমে একজনের সঙ্গে চুক্তি করেন। ওই ব্যক্তি তাঁর পরীক্ষা দিয়েছেন।