আগাম জামিন নাকচ করে আসামিকে পুলিশে দিলেন আদালত

হাইকোর্ট ভবন
ফাইল ছবি

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় ইউপিডিএফ-জেএসএস সদস্য শংকদীস বড়ুয়ার আগাম জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময় তাঁকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে বলা হয়।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। পরে তাঁকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ১৯ অক্টোবর শংকদীসের বিরুদ্ধে রাঙামাটি সদর থানায় ওই মামলাটি করেন সিআইডির এক উপ–পুলিশ পরিদর্শক। এ মামলায় শংকদীস হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে। জামিন আবেদন শুনানির জন্য থাকায় শংকদীস আদালতে হাজির হন।

আদালতে শংকদীসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন, আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন ও তাপস কুমার বিশ্বাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন।
আমিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আবেদনের শুনানিতে আদালত শংকদীসের বিষয়ে তথ্য জানতে রাঙামাটির পুলিশ সুপারকে ভার্চু৵য়ালি আদালতে যুক্ত হতে নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপার আদালতে যুক্ত হয়ে শংকদীসের বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততা এবং তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা থাকার তথ্য জানান। গভীর জঙ্গলে থেকে অপরাধকর্ম চালানোয় এদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় না বলে পুলিশ সুপারের বক্তব্যে এসেছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, শংকদীস তাঁর ‘মা-বাবা টিম্বার অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার’ ব্যবসার আড়ালে মূলত ইউপিডিএফ ও জেএসএস নামে দুটি সংগঠনের সদস্য হয়ে চাঁদাবাজি করে অবৈধ বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে উত্তরা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় নয়টি অ্যাকাউন্টের তথ্য পাওয়া যায়। এগুলো থেকে তিনি মোট ১৪ কোটি ৩৭ লাখ ৭১ হাজার ৭২৪ টাকা উত্তোলন করেন। তাঁর মানি লন্ডারিংয়ের পরিমাণ আনুমানিক ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বলে অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়।