শহীদ পরিবারের বাড়ি আত্মসাতের অভিযোগে মামলা

জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে জাল দলিল তৈরি করে শহীদ পরিবারের অনুকূলে সরকারের বরাদ্দ দেওয়া বাড়ি আত্মসাতের অভিযোগে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সংস্থার উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন।

দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলায় আসামি করা হয়েছে রাজধানীর বংশালের শেখ মো. জাবেদ উদ্দিন ও মিরাজ মো. জাকির উদ্দিনকে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে জাল দলিল তৈরি করেন। সেগুলোর ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে জমা দিয়ে শহীদ পরিবারকে বরাদ্দ দেওয়া জমি দখল করে নেন। রাজধানীর ২২১ নবাবপুর এলাকায় অবস্থিত ওই জমির ওপর থাকা ৩ তলা ভবন ভেঙে নতুন বহুতল ভবনের বেসমেন্ট তৈরির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। বর্তমান মৌজা মূল্য অনুসারে ওই জমির দাম দুই কোটি টাকারও বেশি।

এজাহারে আরও বলা হয়, ঢাকার নবাবপুর রোডের ওই জমি সরকারি অর্পিত সম্পত্তি। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জমিটি শহীদ পরিবারের সদস্য এ কে এম শামসুল হক খানের মা মাসুদা খানমকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই সম্পত্তি বর্তমানে শহীদ পরিবারের সর্বশেষ সদস্য আজহারুল হক খানের নামে আছে। ওই সম্পত্তি ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় শেখ মো. জাবেদ উদ্দিন ও তাঁর সহযোগীরা জালিয়াতির মাধ্যমে জয়দেবপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে একটি দলিল তৈরি করেন। ওই ভুয়া দলিলের গ্রহীতা ননী গোপাল বসাকের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে তপন কুমার বসাক সম্পত্তির মালিক হন মর্মে দাবি করা হয়। ওই দলিল ঠিকঠাক আছে কিনা, তা যাচাই করতে গিয়ে দুদক দেখেছে, দলিলটি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা।

এজাহারে বলা হয়, আসামি শেখ মো. জাবেদ উদ্দিন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক ও সরকারি ভূমি দখলকারী চক্রের মূল হোতা। তিনি জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে জাল দলিল বানিয়ে মিরাজ মোহাম্মদ জাকির উদ্দিনের সহযোগিতায় আত্মসাৎ করেন।