শাহবাগে গ্রেপ্তার সাতজনের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা দিল পুলিশ

কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল বের করেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা–কর্মীরা। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায়
ছবি: হাসান রাজা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার ঢাকায় বিক্ষোভের সময় আটক সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে শাহবাগ থানার পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করেছে পুলিশ।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ‘আসামিরা বেআইনি জনতাবদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেলসহ পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা প্রদান করত হত্যার উদ্দেশে আক্রমণ করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। মিছিলকারীরা মশাল দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে।’

শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশালমিছিল করার সময় গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ওই সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নয় মাস আগে গ্রেপ্তার হওয়া মুশতাক আহমেদ বন্দী অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মারা যান। এ ঘটনায় লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী এবং ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল সন্ধ্যার দিকে জাতীয় জাদুঘর, প্রেসক্লাব এলাকা এবং শাহবাগে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশালমিছিল বের করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার হওয়া সাতজন হলেন নারায়ণগঞ্জের তামজিদ হায়দার, কিশোরগঞ্জের নজির আমিন চৌধুরী জয়, নোয়াখালীর এ এস এম তানজিমুর রহমান, মেহেরপুরের মো. আকিব আহম্মেদ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র), বরিশালের মো. আরাফাত সাদ, লক্ষ্মীপুরের নাজিফা জান্নাত ও পটুয়াখালীর জয়তী চক্রবর্তী।

শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিন্টু মিয়ার করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পুলিশের একজন সদস্যের বুলেটপ্রুফ পোশাকে আগুন ধরে যায় বলে শাহবাগ থানার উল্লেখ করা হয়েছে। শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শকসহ ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হন বলেও জানানো হয়েছে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ জানান, গ্রেপ্তার সাতজনকে সিএমএম আদালতে তোলা হয়েছে।