শিক্ষকনেতার বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গাঙ্গোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতি করে চাকরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে একটি বিদ্যালয় জাতীয়করণের কথা বলে দুই লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল মালেক, সাহার আলী, আফির উদ্দিন, আয়ূব আলী ও ইমাজ উদ্দিন গত ২৭ আগস্ট এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাবিবুর রহমান মাধ্যমিক পাস হলেও উচ্চমাধ্যমিকের জাল সনদ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের পদে চাকরি করছেন।
অভিযোগকারীরা ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা শিক্ষা অফিসের একজন কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, হাবিবুর রহমান গাঙ্গোপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পাসের সনদ দিয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করা হয়। ওই সময়ে সনদ ও নিয়োগসংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই করা হলে বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর তিনি মন্ত্রণালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিকের জাল সনদটি দাখিল করে প্রধান শিক্ষকের পদ ধরে রাখেন। এ ছাড়া তিনি উপজেলার চক হরিনারায়ণ কুণ্ডু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণে সহযোগিতা করার কথা বলে দুই লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
চক হরিনারায়ণ কুণ্ডু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকছেদ আলী অভিযোগ করেন, ‘বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আমাদের কাছ থেকে হাবিবুর রহমান দুই লাখ টাকা নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষক নেতা হওয়ার কারণে বিশ্বাস করে তাঁকে টাকা দিয়েছি। বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখনো সেই টাকা ফেরত পাননি।’
এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার সনদ ঠিক আছে, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’ সনদ দেখাতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাক্ষাতে সব বলা হবে।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল জব্বার বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী মাধ্যমিক পাসের কোনো শিক্ষক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হতে পারবেন না।