শিশু ধর্ষণের দুই সপ্তাহের মধ্যে রায়, আসামির যাবজ্জীবন

  • ৩ অক্টোবর শিশু ধর্ষণের ঘটনা ও মামলা

  • ৮ কার্যদিবসে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ

  • ৬ কার্যদিবসে মামলার রায়

শিশু ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবদুল মান্নান সরদারকে রায়ের পর কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ
প্রথম আলো

বাগেরহাটে শিশু ধর্ষণের ঘটনার দুই সপ্তাহের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে একমাত্র আসামি আবদুল মান্নান সরদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার বাগেরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে রোববার শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজকে দিন ধার্য করেছিলেন। দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের মামলায় এত দ্রুত সময়ে বিচারপ্রক্রিয়া শেষের নজির নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আইনজীবীরা। তাঁরা এই রায়কে ঐতিহাসিক বলেছেন।

আসামি আবদুল মান্নান সরদার বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার একটি ভূমিহীন আশ্রয় প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, পিতৃহারা ৭ বছরের এক শিশু মামার কাছে থাকে। ৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পঞ্চাশোর্ধ্ব মান্নান শিশুটিকে বিস্কুট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনা জানাজানি হলে রাতেই মেয়েটির মামা বাদী হয়ে মোংলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ ওই রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন মোংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিত মুখার্জি। তিনি ১৬ জনকে সাক্ষী রেখে ৮ দিনের মাথায় ১১ অক্টোবর মান্নানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

বাগেরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-আদালতের বেঞ্চ সহকারী গোপাল চন্দ্র পাল বলেন, মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় জুডিশিয়াল আদালত মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ পাঠায়। ১১ অক্টোবর মামলাটি আমলে নিয়ে পরের দিন অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ১৩ ও ১৪ অক্টোবর পুলিশ, চিকিৎসক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। ১৫ অক্টোবর আদালত আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনে সাফাই সাক্ষ্য নেন। রোববার যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।