শিশু মাইশাকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টার পর হত্যা করে ডোবায় ফেলেন প্রতিবেশী: পিবিআই

যৌন নিপীড়ন
প্রতীকী ছবি

রংপুর নগরের বড়বাড়ি এলাকায় সাড়ে চার বছরের শিশু মোবাশ্বিরা আক্তার মাইশাকে হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার জহুরুল হক রানা ওরফে ছক্কু (৪৫) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই জানায়, নিহত মাইশা রংপুর নগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে। শিশুটির পরিবার ও অভিযুক্ত জহুরুল প্রতিবেশী। মাইশা তাকে দাদু বলে ডাকত। ২৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে জহুরুল মোয়া কেনার জন্য মাইশাকে দুই টাকা দেন। মাইশা মোয়া কিনে আনলে জহুরুল তাকে বাড়ির ভেতরে নিয়ে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করেন। মাইশা পাশে পাওয়া বাঁশের কঞ্চি দিয়ে জহুরুলকে আঘাত করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে বাঁশের সঙ্গে বুকে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে শিশুটি মারা যায়।

এরপর বস্তায় ভরে তার লাশ বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। রাত ১১টার দিকে মাইশার মরদেহ বাড়ির পাশের একটি ডোবায় ফেলে আত্মগোপনে চলে যান জহুরুল। পরের দিন ডোবায় মাইশার লাশ দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় শিশুটার বাবা মনোয়ার হোসেন বাদী হয় ওই দিনই কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। রংপুর পিবিআই স্ব–উদ্যোগে ওই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। গতকাল বুধবার রাতে নগরের কেরানীপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে জহুরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে স্বেচ্ছায় তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।