সতিনের সঙ্গে ঝগড়া করে নিজের দুই সন্তানকে কোপালেন মা

খুন
খুন

আরিফুল ইসলাম পেশায় গাড়ি চালক। তাঁর দিলোয়ারা বেগম ও বানু আকতার নামের দুই স্ত্রী রয়েছে। তাঁরা থাকেন একই বসতঘরে। দুই সতিনের মধ্যে নানা ছুতোয় ঝগড়া হয়। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকেও দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। ঝগড়ার একপর্যায়ে দিলোয়ারা বেগম ক্ষোভ ঝাড়লেন দুই শিশুর ওপর। নিজের দুই শিশুসন্তানকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।

ঘটনাটি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বটতলীয়াপাড়া এলাকার। পুলিশ আরিফুলের দুই স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।

স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা বলেন, আরিফুল ছয় বছর আগে দিলোয়ারা বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে দুই মেয়ে হয়। বর্তমানে বড় মেয়ে আরিফার বয়স চার ও ছোটটি আসিফার বয়স দেড় বছর। এক বছর আগে বানু আকতার নামের আরেক নারীকে বিয়ে করেন আরিফুল। তাঁকে নিয়ে চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। তিন মাস আগে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে তোলেন।

আরিফুলের আত্মীয়-স্বজনেরা বলেন, দুপুরে দিলোয়ারা বেগম ও বানু আকতারের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে দিলোয়ারা ‘আরিফুল আরেকটা বিয়ে করে তাঁকে কেন এত কষ্ট দিচ্ছে’-এমন ক্ষোভ থেকে দা নিয়ে দুই শিশু সন্তান আরিফা ও আসিফার ওপর রাগ ঝাড়েন। এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন সন্তানদের। স্থানীয়রা দুই শিশুকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। চিকিৎসকেরা অবস্থা গুরুতর দেখে এদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শিশু আরিফার মুখে, গলার নিচে, কাঁধে ও বুকে চারটি এবং আসিফার বাম হাত ও মুখের চোয়ালে দুটি কোপ লেগেছে। আরিফার অবস্থা গুরুতর আর আসিফার বাম হাতের তালু অর্ধেক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দুজনকে গুরুতর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আজম প্রথম আলোকে বলেন, দুই শিশুর ওপর চরম নির্মমতা চালিয়েছেন মা দিলোয়ারা বেগম। তাকে আটক করা হয়েছে। আরিফুলের দ্বিতীয় স্ত্রী বানু আকতারকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।