সম্রাট হাসপাতালে, অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল

ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট
ছবি: সম্রাটের ফেসবুক পেজ থেকে

অস্ত্র ও মাদক মামলায় ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছে। সোমবার ঢাকার প্রথম ও সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এই আদেশ দেন।

সরকারি কৌঁসুলি মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আসামি সম্রাট অসুস্থ থাকায় তাঁকে সোমবার আদালতে হাজির করা হয়নি। সম্রাট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আদালত অভিযোগ গঠনের শুনানির নতুন দিন ঠিক করেছেন।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার পরিদর্শক মইনুল ইসলাম জানান, এ মামলার অপর আসামি আরমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। গত ২০ অক্টোবর এই দুটি মামলায় সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত।

মাদক মামলায় গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। অভিযোগপত্রে বলা হয়, যুবলীগ নেতা সম্রাট জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তাঁর সহযোগী আরমানের সহযোগিতায় তিনি মাদকদ্রব্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেন। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা মাদকদ্রব্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি।

ঢাকার দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাব পরিচালনা করতেন সম্রাট। তাঁর নিয়ন্ত্রণেই এসব ক্লাবে ক্যাসিনোসহ জুয়ার আসর বসত। এভাবে বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হন সম্রাট। প্রতি মাসে ক্যাসিনো খেলার জন্য সিঙ্গাপুরেও যেতেন তিনি। সরকারি ও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতেন। তাঁর সহযোগী ছিলেন কাউন্সিলর মমিনুল হক ওরফে সাঈদ এবং যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া মদ ও ইয়াবার রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের কাছে মোট ১৯ বোতল বিদেশি মদ পাওয়া গেছে, যার দাম ৯৫ হাজার টাকা। আর জব্দ করা ইয়াবার দাম ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।

গত বছরের ১১ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় র‍্যাব। গত বছরের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তাঁর সহযোগী আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে তাঁদের ঢাকায় আনা হয়। এরপর র‍্যাব সম্রাটকে নিয়ে তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সম্রাটের কার্যালয়ে ক্যাঙারুর দুটি চামড়া, মাদক ও অস্ত্র পাওয়া যায়। তাঁদের কাছ থেকে ১ হাজার ১৬০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় র‍্যাব বাদী হয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা করে।