সরকারি চাল নিয়ে নয়ছয়, ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও এক দফাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ইউপি চেয়ারম্যানের নাম জেসমিন নাহার ও দফাদারের নাম মো. আকবর।

স্থানীয় বাসিন্দা, প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের ৪ হাজার ৮৪ জন উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণের জন্য ৪০ হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। মেদুয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার ভালুকা খাদ্যগুদাম থেকে তিন দিনে ভিজিএফের সব চাল তুলে নেন। ইউপি কার্যালয়ে দুই দিন বিতরণের পর শেষ দিনে (গতকাল বুধবার) চাল কম পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে ভিজিএফের কার্ডধারীরা চাল না পেয়ে আন্দোলন শুরু করেন।

প্রশাসন ও পুলিশ সূত্র জানায়, মেদুয়ারী ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল কম হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ কামাল ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেখানে মাসুদ কামাল চাল কম পড়ার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দেননি। পরে চালের খালি বস্তা গণনা করে ২০৬ বস্তা কম পাওয়া যায়। এরপর দফাদার আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইউএনও। সেখানে আকবর স্বীকার করেন চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের নির্দেশে নুর মোহাম্মদ ওরফে নুরু ডিলারের কাছে এক ট্রাক চাল (ছয় মেট্রিক টন) হস্তান্তর করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, একপর্যায়ে চাল আত্মসাৎ করার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে জেসমিন নাহার ও আকবরকে পুলিশে দেন ইউএনও। আজ দুপুরে ভালুকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ভিজিএফ চাল আত্মসাতের অভিযোগে ২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় মামলা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকা মডেল থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পিআইওর করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আকবর ও জেসমিন নাহারকে আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে আকবর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আর জেসমিন নাহারের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।