সহকারী প্রভোস্ট সাক্ষ্যে যা বললেন

আবরার ফাহাদ
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সহকারী প্রভোস্ট ইফতেখার আহমেদ খান আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে এ মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবারও এ মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।

ইফতেখার আহমেদ খান আদালতকে বলেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর রাত ২টা ৭ মিনিটে শেরেবাংলা হলের নিরাপত্তারক্ষী মোস্তাক তাঁকে মোবাইলে ফোন করেন এবং বলেন, হলের ছাত্র রবিন তাঁকে হলে আসতে বলেছেন। এরপর তিনি রবিনকে ফোন দেন। রবিন তাঁকে জানান যে শেরেবাংলা হলে একজন শিবির কর্মীকে ধরা হয়েছে। যথেষ্ট সাক্ষ্য–প্রমাণ আছে। তাকে পুলিশে দেওয়া হবে। তখন তিনি রবিনকে বলেন, হলের প্রভোস্টের অনুমতি ছাড়া কাউকে পুলিশে দেওয়া যাবে না। রবিনকে অপেক্ষা করতে বলেন তিনি। পরে ঘটনাটি হলের প্রভোস্ট জাফর ইকবাল খান, সহকারী প্রভোস্ট শাহিনুর ইসলাম এবং অধ্যাপক মিজানুর রহমানকে ফোনে জানান তিনি।

বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক ইফতেখার আহমেদ খান আদালতকে আরও বলেন, সেদিন রাত ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্টসহ অন্যদের নিয়ে শেরেবাংলা হলে আসেন। হলের উত্তর গেটের সামনে করিডরে একটি স্ট্রেচারে চাদর দিয়ে ঢাকা একজনকে দেখতে পান। শেরেবাংলা হলের নিরাপত্তারক্ষী মুস্তাক তাঁকে জানান, এই ছাত্র আবরার ফাহাদ, লাশটি তাঁরই।

সহকারী প্রভোস্ট ইফতেখার আহমেদ খান আদালতকে বলেন, পুলিশের সুরতহাল প্রস্তুত করার সময় তিনি দেখেন, আবরার ফাহাদের দুই হাতের কাঁধ থেকে কবজি পর্যন্ত এবং কোমর থেকে দুই পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত আঘাতের চিহ্ন এবং দুই হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন তিনি দেখেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি এহসানুল হক সমাজী, আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া। গত বছরের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটে শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ মামলায় গত বছরের ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত ২১ জানুয়ারি অভিযোগপত্রটি আমলে নেন আদালত। তিন আসামি পলাতক। গত ২ সেপ্টেম্বর বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বুয়েটের ২৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, পরস্পর যোগসাজশে শিবির সন্দেহে আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নির্মমভাবে পিটিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়।