চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি আবু রায়হান এবং তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ শহীদসহ দুজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে এসে অঝোরে কাঁদলেন মামলার বাদী স্ত্রী-সন্তানহারা রেজাউল করিম।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ওবায়দুস সোবহানের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এজলাসে নিস্তব্ধতা নেমে আসে। পরে আদালত সাক্ষ্য অসমাপ্ত অবস্থায় রেখে আগামী ১৩ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে রেজাউল করিম বলেন, তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত রায়হান। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও সে পিছু ছাড়েনি। পরে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে বাসায় ঢুকে সে খুন করে পালিয়ে যায়। এসব কথা বলতে না বলতেই নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেননি বাদী। অঝোরে কাঁদতে থাকেন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে। এ সময় পুরো এজলাসে নিস্তব্ধতা নেমে আসে। কিছুক্ষণ পর চোখ মুছে কিছু বলার চেষ্টা করলেও বলতে পারেননি রেজাউল করিম। একপর্যায়ে তিনি কাঠগড়ায় বসে পড়েন। পরে আদালত সাক্ষ্য অসমাপ্ত অবস্থায় রেখে পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
গত ২৪ মার্চ নগরের ডবলমুরিং আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ভাড়া বাসায় সায়মা নাজনীন (১৮) ও তাঁর মা রিজিয়া খাতুনকে (৫০) খুন করা হয়। এ ঘটনায় সেদিন রাতে সায়মার বাবা রেজাউল করিম নগরের ডবলমুরিং থানায় আবু রায়হানের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ আসামি আবু রায়হান ও তাঁর সহযোগী শহীদকে গ্রেপ্তার করে। ২৫ মে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে ডবলমুরিং থানার পুলিশ।