সাতকানিয়ায় অস্ত্রবাজি: গ্রেপ্তার আটজনের তিন দিন করে রিমান্ড

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অস্ত্রবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার কৌশিক আহমেদ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন—নাসির উদ্দিন (৩১), মোহাম্মদ কায়েস (২২), মোহাম্মদ মোরশেদ (২৬), কোরবান আলী (৩৭), মোহাম্মদ ইসমাইল (৫৫), মো. জসিম (২৪), মোহাম্মদ মিন্টু (২৬) ও নুরুল আবছার (৩৩)। ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি র‍্যাবের কয়েকটি দল বান্দরবান, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, আট আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাতকানিয়া থানা-পুলিশ পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে ভোট হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোটের দিন খাগরিয়া, সোনাকানিয়া, বাজালিয়া, নলুয়া, কাঞ্চনা ও চরতীতে গোলাগুলি ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। নলুয়া ইউপিতে তাসিব নামের এক কিশোর ও বাজালিয়ায় গুলিতে শুক্কুর নামে এক বহিরাগত নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে মামলা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা খাগরিয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আকতার হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিনের পক্ষে সহিংসতা ও অস্ত্রবাজিতে জড়িত ছিলেন। ঘটনা শুরুর সময় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আকতার ইউপি কেন্দ্রে ছিলেন। তিনি তাঁর সমর্থকদের তখন নির্দেশনা দেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন। জসিম উদ্দিনও তখন কেন্দ্রে ছিলেন। অস্ত্রধারীরা তাঁর অনুসারী নন বলে দাবি করেছেন আকতার হোসেন। তিনি বলেন, তাঁর অনুসারীদের হাতে অস্ত্র ছিল না। আকতার পাল্টা অভিযোগ করেছেন, জসিম অস্ত্রবাজি করেছেন। গোলাগুলিতে লিপ্ত দুই পক্ষের সাত অস্ত্রধারীর ছবি ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়।
অস্ত্রবাজির ঘটনায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সাতকানিয়া ও নোয়াখালী থেকে দুই অস্ত্রধারী মো. নিশান ও জয়নাল আবেদীন ওরফে লেদাইয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি অপর আটজন গ্রেপ্তার হন।