সাতক্ষীরায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পুলিশের ধারণা হত্যা

লাশ
প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বন্দকাটি গ্রাম থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাঁর স্ত্রী সাবিনা খাতুনকে আটক করেছে। পুলিশের ধারণা, তাঁকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ওই ব্যক্তির নাম আবির হোসেন (২৬)। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের বাসিন্দা। তবে বন্দকাটি গ্রামে শ্বশুরবাড়ির পাশে থাকতেন।

স্থানীয় বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীন বলেন, কয়েক মাস আগে বিয়ে করেন আবির হোসেন। এরপর থেকে তিনি বন্দকাটি গ্রামে থাকতেন। সর্বশেষ গতকাল সোমবার রাত নয়টার দিকে কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে তাঁকে বন্দকাটিতে চায়ের দোকানে বসে চা পান করতে দেখা যায়। আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে স্থানীয় লোকজন দেখতে পান, বাড়ির পাশে একটি গাছে তাঁর লাশ ঝুলছে। পরে স্থানীয় লোকজন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে এ কথা জানান। সকাল ১০টার দিকে কালীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। তাঁর স্ত্রী সাবিনাকে এ সময় আটক করা হয়।

ইউপির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আবিরের দুই পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি ওপড়ানো। সেখান দিয়ে রক্ত ঝরছে। ঝুলন্ত মরদেহে ধুলা লেগে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আবিরের মা হোসনে আরা ও বাবা নাবিল মোল্লার অভিযোগ, তাঁদের ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে ছেলের বউ, তাঁর ভাই ও বাবা-মা জড়িত।

তবে আবিরের স্ত্রী সাবিনার দাবি, গতকাল বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে তাঁর স্বামী আবির হোসেন বাড়ি ফেরেননি। সকালে জানতে পারেন, স্বামীর মরদেহ বাড়ি থেকে ১০০ গঞ্জ দূরে পুকুরের পাশে একটি গাছে ঝুলছে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আবির হোসেনকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।