সাহায্য করতে এলেন, সব ছিনিয়ে নিয়ে চলে গেলেন

ছিনতাই
প্রতীকী ছবি

শীতের মধ্যরাতে মহাসড়কে হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে কাভার্ড ভ্যান। চালক নাজমুল ইসলাম ও তাঁর সহকারী জিনারুল ইসলাম পড়ে যান চিন্তায়। হঠাৎ এই বিপদে তাঁদের সাহায্য করতে টর্চলাইট হাতে এগিয়ে আসেন একজন। কিন্তু একটু পরেই বদলে যায় তাঁর রূপ। তাঁদের কাছে থাকা ২৬ হাজার টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন তিনি। বাধা দেওয়ায় তিনি ধারালো ক্ষুরের পোঁচে চালক ও সহকারীকে জখম করেন।

গতকাল সোমবার রাত ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে চুয়াডাঙ্গার শহরতলি জাফরপুর জেলা স্টেডিয়ামের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে নাজমুল ও জিনারুলের চিৎকারে আশপাশের কয়েকজন এসে তাঁদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। এই দুজনের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে।

এদিকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সদর থানা–পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ভবতোষের নেতৃত্বাধীন টহল দল রাতেই চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার নূরনগর থেকে শাকের আলী নামের একজনকে আটক করেছে। পুলিশের দাবি, শাকের একজন চিহ্নিত অপরাধী।

চালক নাজমুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গা থেকে একটি খালি কাভার্ড ভ্যান চালিয়ে সহকারী জিনারুলকে নিয়ে ঝিনাইদহে যাচ্ছিলেন তিনি। রাত ১২টার দিকে জাফরপুরে জেলা স্টেডিয়ামের কাছে কাভার্ড ভ্যানটি বিকল হয়ে পড়ে। এ সময় টর্চলাইট হাতে একজন সহযোগিতার কথা বলে এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে তিনি জোর করে গাড়ির কেবিনে ঢুকে ২৬ হাজার টাকা ও মুঠোফোন নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে জাপটে ধরলে আশপাশ থেকে কয়েকজন ছুটে আসেন এবং নিজেদের স্থানীয় লোক দাবি করে ছিনতাইকারীকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ছাড়তে না চাইলে ছিনতাইকারী পকেট থেকে ক্ষুর বের করে বেশ কয়েকটি পোঁচ দিয়ে তাঁকে ও সহকারীকে জখম করেন।

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবীর এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।