সিদ্ধিরগঞ্জে মা ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মা ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার পর মা ও দুই মেয়ের লাশ বস্তায় ও ড্রামে ভরে পৃথক দুটি স্থানে ফেলে রাখা হয়।

হত্যাকাণ্ডের শিকার শিকার হয়েছেন আঞ্জুবী আক্তার (২৮) ও তাঁর দুই মেয়ে ৭ বছর বয়সের মাঈদা আক্তার ও ১৫ মাস বয়সের মাহি।
অভিযোগ উঠেছে, স্বামী মাসুদ দেওয়ানের পরিকল্পনায় দ্বিতীয় স্ত্রী শোভা আক্তার ও তাঁর চাচাতো ভাই সোহেলের বিরুদ্ধে এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে। রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে গ্রেপ্তার সোহেল মিয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই ঘটনায় শনিবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন মাসুদ দেওয়ান (৩২) ও সোহেল মিয়া (১৯)। তবে অভিযুক্ত দ্বিতীয় স্ত্রী শোভা আক্তারকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মাসুদ দেওয়ানকে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) মো. শরফুদ্দীন।

রোববার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দীন বলেন, গত ৬ বছর আগে সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউসিং এলাকার মাসুদ দেওয়ানের সঙ্গে আঞ্জুবী আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে মাইদা ও মাহির জন্ম হয়। গত দুই বছর আগে মাসুদ দেওয়ান পরকীয়ার প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে শোভা আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ নিয়ে প্রথম স্ত্রী আঞ্জুবী আক্তারের সঙ্গে তার কলহ-বিবাদ লেগে থাকত। এর আগে শোভা আক্তারের বিয়ে হয়েছিল। তার ঘরে এক সন্তানও রয়েছে। ওই কলহের জেরে স্বামী মাসুদ দেওয়ান, দ্বিতীয় স্ত্রী শোভা আক্তার ও চাচাতো শ্যালক সবুজ ওরফে সোহেল মিলে প্রথম স্ত্রী আঞ্জুবী আক্তার ও তার দুই মেয়েকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ৯ জুন শোভা আক্তার সিদ্ধিরগঞ্জের আঁটি হাউসিংয়ে ছয় তলায় তার নতুন ফ্ল্যাট বাসা দেখে যাওয়ার জন্য আঞ্জুবী আক্তারকে দাওয়াত দেন। ওই দিন বেলা ১১টার দিকে মাসুদ দেওয়ান তার প্রথম স্ত্রী আঞ্জুবী আক্তার ও দুই মেয়েকে নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী শোভার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে আঞ্জুবী আক্তারকে দ্বিতীয় স্ত্রী শোভা আক্তার ও তার চাচাতো ভাই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে মাইদা ও মাহিকে হত্যা করা হয়।