সিলেটে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজন আটক

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মো. আইনুদ্দিন (২৬) ও রাজন মিয়া (২৭) নামের দুজনকে আটক করেছে র‌্যাব-৯। রোববার রাত একটার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জের কচুয়া নয়াটিলা গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।

এর আগে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহর থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শাহ মো. মাহবুবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব-৯। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে আইনুদ্দিন ও রাজনকে আটক করা হয়েছে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন র‌্যাব-৯ এর এএসপি (গণমাধ্যম) ওবাইন রাখাইন। রোববার রাতে তাদের আটক করা হলেও সোমবার সকালে র‌্যাব-৯-এর একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে রাজন মিয়া ও আইনুদ্দিনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরে বিকেলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে খুদে বার্তায় মো. আইনুদ্দিন ও রাজন মিয়াকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখা।

র‌্যাব-৯ এর এএসপি (গণমাধ্যম) ওবাইন রাখাইন বলেন, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার আসামি মাহবুবুর রহমান রনিকে রোববার রাতে গ্রেপ্তারের পর ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হিসেবে আইনুদ্দিন ও রাজন মিয়ার নাম পাওয়া যায়। এরপর রোববার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে তাদের আটক করা হয়।

‍এই ঘটনায় তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। নাম উল্লেখ করা ছয় আসামি হলেন সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লঙ্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)। তাঁরা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।

এখন পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানসহ এজাহারভুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি তিনজন হলেন রবিউল হাসান, শাহ মো. মাহবুবুর রহমান ও অর্জুন লস্কর। প্রধান আসামি সাইফুরকে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে এবং অর্জুন, রবিউল ও মাহবুবুরকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গত শুক্রবার রাতে তরুণী গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। শনিবার তাঁর স্বামী মামলা করেন।

আরও পড়ুন