সৈয়দপুরে বাবার হাতে গেল ছেলের প্রাণ

লাশ
প্রতীকী ছবি

বাবার হাতে ছেলে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট পুলিশ ফাঁড়িসংলগ্ন রেল কলোনি বস্তিতে গতকাল শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. সনু (৩২)। তিনি ব্যাটারিচালিত ভ্যানের চালক ছিলেন।

সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট রেল কলোনি বস্তিতে বসবাস করেন মো. ভলু (৬০)। পেশায় তিনি একজন রিকশাচালক। তিনি অভিযোগ করেন, এক মাস আগে তাঁর মাদকাসেবী ছেলে মা-বাবাকে ঘর থেকে বের করে দেন। তখন থেকে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে পাশের উত্তরা আবাসন এলাকায় মেয়ের বাড়িতে থাকেন। ঘটনার দিন সকালে তাঁর স্ত্রী ছেলে সনুর বাড়িতে গেলে পুত্রবধূর সঙ্গে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ছেলে সনু তাঁর মা সাম্মাকে (৫৫) পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ বলছে, এমন অপমানের প্রতিশোধ নিতে রাতে ছেলের বাড়িতে গিয়ে ভলু ছেলের ওপর ইট ছুড়ে মারেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সনু।

ভলুর স্ত্রী সাম্মার ভাষ্য, তাঁর স্বামীই সন্তানকে মেরেছেন। তবে তিনি ছেলেকে শাসন করতে চেয়েছিলেন, হত্যা করতে চাননি।

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ভলু হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। রাতেই সনুর স্ত্রী সাজদা শ্বশুরকে আসামি করে সৈয়দপুর থানায় মামলা করেন। আহাজারি করতে করতে তিনি অভিযোগ করেন, ‘সকালে আমার শাশুড়ি তাঁর ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। এটা যে সত্যি ঘটবে, আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।’

খবর পেয়ে সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি মর্মান্তিক। এটা সামাজিক অবক্ষয়। মাদক এর জন্য দায়ী। বিষয়টির নেপথ্যে কী আছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, সনুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত সনুর বাবা ভলুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে তিনি অসুস্থ বোধ করলে স্থানীয় ১০০ শয্যা সরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়।