হাত-পা ও মুখ বাঁধা কিশোরীর লাশ ভাসছিল খালের পানিতে

লাশ
প্রতীকী ছবি

শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভার একটি খাল থেকে বৃহস্পতিবার ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় কিশোরীর লাশ খালের পানিতে ভাসছিল। পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পর কিশোরীকে হত্যা করে খালে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে টিভি দেখতে পাশের বাড়িতে যাওয়ার সময় কিশোরী নিখোঁজ হয়। রাতে বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও তার সন্ধান পায়নি পরিবার। মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করত। দুই বছর আগে পড়ালেখা বন্ধ করে দেয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে একটি খালে কিশোরীর মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় গ্রামবাসী। ডামুড্যা থানার পুলিশ সকাল নয়টার দিকে লাশ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ডামুড্যা থানার উপপরিদর্শক সজল কুমার পাল বলেন, ‘কিশোরীর বাড়ির পাশে একটি খাল আছে। খালের পানিতে লাশ ভাসতে দেখে গ্রামের মানুষ আমাদের খবর দেয়। কিশোরীর হাত-পা ও মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল।’

কিশোরীর বাবার অভিযোগ, ‘অপহরণ করে ধর্ষণের পর আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমাদের সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা নেই।’

ডামুড্যা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এমারত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মেয়েটিকে কারা কীভাবে হত্যা করেছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে। মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছিল কিনা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পেলে বলা যাবে না।