হাতবোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে প্রাণ গেল ইউপি সদস্যের

লাশ
প্রতীকী ছবি

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় ককটেল-জাতীয় হাতবোমা বিস্ফোরণে নাজমুল আলম ওরফে লিটন নামে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্য নিহত হয়েছেন। বোমা বানানোর সময় তাঁর বাড়ির পাশে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

নাজমুল ঝিকরগাছা উপজেলার হাজীরবাগ ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি পাঁচপোতা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল ওহাবের ছেলে। তিনি উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ওমর আলী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যার দিকে পাঁচপোতা গ্রামে নিজের বাড়ির পাশে বাগানের ভেতরে বসে বর্তমান ইউপি সদস্য নাজমুলসহ কয়েকজন ককটেল তৈরির কাজ করছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে গোপন স্থানে রেখে চিকিৎসা দেন। কিন্তু তাঁর অবস্থার অবনতি হলে রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। পথে মানিকগঞ্জ পৌঁছালে রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান। তাঁর লাশ প্রথমে ঝিকরগাছা থানায় নেওয়া হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাড়ির পাশে বাগানে বসে ককটেল-জাতীয় হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে ইউপি সদস্য নাজমুলের দুই হাত ও শরীরে আঘাত লাগে। ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আওয়ামী লীগের এক নেতা হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ককটেল তৈরির আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।