১৫ বস্তা সরকারি চালসহ আ.লীগ নেতা আটক

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় হতদরিদ্রের জন্য বরাদ্দ করা সরকারি ১৫ বস্তা চালসহ আওয়ামী লীগের নেতাসহ দুজনকে আটক করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার নবীপুর ইউনিয়ন থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে।

আটক দুজন হলেন হতদরিদ্রের চালের ডিলার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান ও তাঁর সহকারী স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী ইসমাইল হোসেন।

সেনবাগ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম মজুমদার রাত নয়টায় প্রথম আলোকে বলেন, বিকেলে গোপন সংবাদে তিনি জানতে পারেন উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা মূল্যের চাল সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণ না করে উচ্চমূল্যে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন ডিলার মো. শাহজাহান ও তাঁর সহযোগী ইসমাইল হোসেন। ওই খবরের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ক্ষেমালিকা চাকমা এবং উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা অচিন্ত্য চাকমাকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

এরপর সন্ধ্যা সাতটার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও খাদ্য কর্মকর্তা নবীপুর ইউনিয়নের বড় চারিগাঁও গ্রামের ৮টি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৫ বস্তা চাল ও ৩টি খালি বস্তা উদ্ধার করেন।

সহকারী কমিশনার ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, যেসব বাড়ি থেকে চালগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, ওই সব বাড়ির বাসিন্দারা কেউই ১০ টাকা কেজির চালের সুবিধাভোগী ছিলেন না। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা ওই চালগুলো প্রতি বস্তা ৯০০-৯৫০ টাকা দরে ডিলার মো. শাহজাহান ও তাঁর সহযোগী ইসমাইল হোসেনের কাছ থেকে কিনেছেন।

ইউএনও সাইফুল ইসলাম মজুমদার জানান, উদ্ধার করা চালগুলো থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং একই সময় কৌশলে চালের ডিলার শাহজাহান ও তাঁর সহযোগী ইসমাইল হোসেন খানকে আটক করা হয়েছে।

ইউএনও জানান, ডিলার শাহজাহান দীর্ঘদিন ধরে হতদরিদ্রদের মধ্যে চাল বিলি না করে তা উচ্চমূল্যের অন্যত্র বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু যথাযথ তথ্য–প্রমাণের অভাবে এত দিন তাঁকে ধরার সুযোগ হয়নি।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, এ ঘটনায় উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।