২৫ বছরেও হয়নি কল্পনা চাকমা অপহরণের বিচার

কল্পনা চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রামের নারী নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণের বিচার হয়নি ২৫ বছরেও। অপহরণের ঘটনার ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সভা হয়েছে।

দিনটিতে পৃথক বিবৃতিতে কল্পনা চাকমার অপহরণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক ও সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম।

গতকাল রাঙামাটি শহরের কল্যাণপুরে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় কল্পনা অপহরণের ঘটনার বিচার দাবি করা হয়।

কল্পনা চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৬ সালের ১১ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগের রাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার লাল্যাঘোনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হন তিনি। পরদিন বাঘাইছড়ি থানায় এ ঘটনায় মামলা হয়। থানার তৎকালীন ওসি শহিদউল্ল্যা নিজেই মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন। এরপর একে একে ৩৩ জন তদন্ত কর্মকর্তা বদল হন। ৩৪তম তদন্ত কর্মকর্তা, ওই থানার উপপরিদর্শক ফারুক আহম্মদ ‘পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে না’ উল্লেখ করে ২০১০ সালের ২১ মে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন।

মামলার বাদী ও কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালিন্দী চাকমা সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আদালতে নারাজি আবেদন দেন। তাঁর আইনজীবী জুয়েল দেওয়ান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৬ সালে আদালত রাঙামাটির পুলিশ সুপার সৈয়দ তারিকুল হাসানকে এ মামলার তদন্তভার দেন। তিনি দুই বছর পর ২০১৮ সালে কারও বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ প্রতিবেদনেও নারাজি দেন কল্পনার ভাই। পরে কয়েক দফা শুনানি হয়।

এরপর রাঙামাটির অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আলী প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেন। এসব নথি দাখিল সাপেক্ষে নারাজি আবেদনের ব্যাপারে অধিকতর শুনানি হবে বলে নির্দেশ দেন। এখন পর্যন্ত শুনানি হয়নি।