৩ পুলিশের যাবজ্জীবন, দুই সোর্সের ৭ বছরের জেল

ঢাকার পল্লবীর বাসিন্দা গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেনকে হত্যার ঘটনায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে করা মামলার রায়ে পুলিশের তিন সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার অন্য আসামি পুলিশের কথিত দুই সোর্সকে ৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস এই রায় ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়ে এই প্রথম নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে করা কোনো মামলার রায় হলো। আইনটি সাত বছর আগে ২০১৩ সালে পাস হয়।

ইশতিয়াক হত্যা মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য। তাঁরা হলেন পল্লবী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল ইসলাম ও এএসআই কামরুজ্জামান। তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।

অন্য দুই আসামি হলেন পুলিশের কথিত সোর্স সুমন ও রাসেল। তাঁদের ৭ বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে।

দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে কামরুজ্জামান ও রাসেল পলাতক। আগে থেকেই কারাগারে আছেন জাহিদুর রহমান ও সুমন। জামিনে ছিলেন রাশেদুল ইসলাম। রায়ের পর তাঁকে আজ কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার বাদী ইমতিয়াজ হোসেন। তিনি নিহত গাড়িচালক ইশতিয়াকের ছোট ভাই।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইনের চোখে সবাই সমান, সেটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মামলার বাদী ইমতিয়াজ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ভাইয়ের হত্যা মামলায় আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি ও আমার পরিবার সন্তুষ্ট।’
রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ।