৫ সেকেন্ডে মোটরসাইকেল চুরি করেন তিনি

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

একটি বিশেষ চাবি দিয়ে যেকোনো মোটরসাইকেলের তালা মাত্র ৫ থেকে ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই খুলে ফেলতে পারে তিনি। এরপর মোটরসাইকেলটি নিয়ে তাঁর সঙ্গে থাকা চক্র চোখের পলকেই পালিয়ে যায়। ওই যুবকের নাম মো. পাভেল মিয়া (২৩)।

পাভেল ময়মনসিংহের গৌরীপুরের লামাপাড়া এলাকার মো. আবুল হাসিমের ছেলে। নেত্রকোনা শহর থেকে তিন দিনের ব্যবধানে দুটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং চোরচক্রের প্রধান পাভেল মিয়াসহ পাঁচজনকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ নুর এ আলম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

আটক অন্য যুবকেরা হলেন ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সরকারপাড়া এলাকার মামুন খাঁ (২৪), মাহমদ পট্টির মামুন শেখ (২১), মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার যশদিয়া এলাকার খলিল মিয়া (২০) ও একই জেলার শ্রীনগর উপজেলার পূর্ব বাগড়া এলাকার ইদ্রিস মিয়া (২০)।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে ও গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের মসজিদ কোয়ার্টারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মেলা এলাকা থেকে দুটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ নিয়ে মোটরসাইকেলের মালিকেরা নেত্রকোনা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকবর আলী মুন্সির নির্দেশে অনুসন্ধানে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি দল চুরি হওয়া স্থানে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযান শুরু করে। পরে ক্রেতা সেজে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের গৌরীপুরের ময়লাকান্দা গ্রাম থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেলসহ মূল হোতা পাভেল মিয়াকে আটক করা হয়। এরপর তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একে একে চোরচক্রের চার সদস্যকে ওই রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়। আজ সকালে তাঁদের জেলা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরে দায়ের করা মামলায় প্রত্যেককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরের দিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

ওসি মো. শাহ নুর এ আলম বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে আটক ওই পাঁচজনই মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। চক্রটি শক্তিশালী। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে।’