৮ বছরে তাঁর পকেটে ১২৮৩ কোটি, সঙ্গে খেলাপি ঋণ ৫০০ কোটি

গুলশানের ৬১ নম্বর সড়কের ১/এ প্লটটি ছিল এম এ খালেকের। এখন তা নজরুল ইসলামের নিয়ন্ত্রণে। মাস দু–এক আগে সেখানে হেয়ার ফোর্ট নামে ছেলেদের একটি পারলার চালু হয়েছে। চালু হয়েছে একটি আবাসিক হোটেলও। ছবি: সানাউল্লাহ সাকিব
গুলশানের ৬১ নম্বর সড়কের ১/এ প্লটটি ছিল এম এ খালেকের। এখন তা নজরুল ইসলামের নিয়ন্ত্রণে। মাস দু–এক আগে সেখানে হেয়ার ফোর্ট নামে ছেলেদের একটি পারলার চালু হয়েছে। চালু হয়েছে একটি আবাসিক হোটেলও। ছবি: সানাউল্লাহ সাকিব

ব্যাংক, বিমা, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা এম এ খালেক। চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্বেও ছিলেন দীর্ঘ সময়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন কৌশলে বের করে নিয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ফলে বিপদে পড়েছে এসব প্রতিষ্ঠান।

এ ছাড়া আরও ৫০০ কোটি টাকা ঋণ হিসাবে এম এ খালেক নিয়েছেন তিনটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে। সেটাও এখন খেলাপি হয়ে পড়েছে।

এম এ খালেক বিভিন্নভাবে আনুষ্ঠানিক পদে ছিলেন এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইম ব্যাংক, প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, পিএফআই সিকিউরিটিজ, প্রাইম ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড, প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও ফারইস্ট স্টক অ্যান্ড বন্ডস লিমিটেড।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এম এ খালেকের টাকা সরিয়ে নেওয়ার সত্যতা বেরিয়ে এসেছে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনেও। কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১০ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা বের করে নেওয়া শুরু করেন। এরপর আট বছরে হাতিয়ে নিয়েছেন ১ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা। এখন কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে নিজেই সরে পড়েছেন, আবার চাপে পড়ে পদ ছেড়েছেন কোনোটির।

কার কত টাকা নিয়ে গেছেন
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা যায়, এম এ খালেক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রাইম ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ থেকে ৩০৫ কোটি টাকা ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের ৩৭৬ কোটি টাকা বের করে নেন। এ ছাড়া প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজে ২০ কোটি, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সে ২০০ কোটি, পিএফআই প্রপার্টিজে ১৫০ কোটি, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির ১৬৭ কোটি, ফারইস্ট স্টক অ্যান্ড বন্ডে ৫০ কোটি ও পিএফআই ক্যাপিটালের ১৫ কোটি টাকা তাঁর পকেটে গেছে।

জানা যায়, অনেক সময় শেয়ার ব্যবসার নামে টাকা বের করেছেন, আবার কখনো পরিবারের সদস্য ও কর্মচারীদের নামেও টাকা নিয়েছেন এম এ খালেক।

এর বাইরে ম্যাকসন্স বাংলাদেশ, ম্যাকসন্স বে লিমিটেড, গ্যাটকো, গ্যাটকো এগ্রো ভিশন, গ্যাটকো টেলিকমিউনিকেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামেও তিনি ঋণ নিয়েছেন প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। বেসরকারি খাতের আল-আরাফাহ ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংকের এসব ঋণ ইতিমধ্যে খেলাপি হয়ে পড়েছে।

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ কোটি টাকা
এম এ খালেকের কাছে ঢাকার প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্ট পাবে ১৬৭ কোটি টাকা। বেসরকারি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদাভাসির তদন্তে এসেছে, প্রাইম এশিয়া ফাউন্ডেশনের হিসাব থেকে এম এ খালেক ৯০ কোটি প্রাইম ব্যাংকের মতিঝিল, বনানী শাখার হিসেবে টাকা স্থানান্তর করেছেন, যা সুদ–আসলে এখন ১৬৭ কোটি টাকা হয়েছে।

>

কোন প্রতিষ্ঠানের কত টাকা :

# প্রাইম ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজের ৩০৫ কোটি
# ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের ৩৭৬ কোটি
# প্রাইম ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সে ২০০ কোটি
# প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির ১৬৭ কোটি
# পিএফআই প্রপার্টিজের ১৫০ কোটি
# ফারইস্ট স্টক অ্যান্ড বন্ডে ৫০ কোটি
# প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজের ২০ কোটি
# পিএফআই ক্যাপিটালের ১৫ কোটি
# তিনটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন ৫০০ কোটি টাকা, যা এখন খেলাপি হয়ে গেছে।

হুদাভাসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা এম এ খালেকের নিজ ব্যাংক হিসাবে সরিয়েছেন। ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা তাঁর স্ত্রী সাবিহা খালেকের, ভাগনে মিজানুর রহমান, ব্যক্তিগত স্টাফ মো. তাজুল ইসলাম ও নিজ কোম্পানি ম্যাক্সসন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের হিসাবে স্থানান্তর করেছেন। এ ছাড়া প্রাইম এশিয়া ফাউন্ডেশন থেকে ২১ কোটি টাকা এম এ খালেক বিভিন্ন নামে পে–অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করেছেন, যা ফাউন্ডেশনের গত ৩০ অক্টোবরের হিসাব বিবরণীতে বেরিয়ে এসেছে।

গুলশানের ৯১ নম্বর সড়কের বাড়িসহ ৪০/১ প্লটটি কিনে নিয়েছে ফারইস্ট ইসলামী সিকিউরিটিজ। আগে সেখানে ছিল এম এ খালেকের মালিকানাধীন পিএফআই প্রপার্টিজ। ছবি: সানাউল্লাহ সাকিব
গুলশানের ৯১ নম্বর সড়কের বাড়িসহ ৪০/১ প্লটটি কিনে নিয়েছে ফারইস্ট ইসলামী সিকিউরিটিজ। আগে সেখানে ছিল এম এ খালেকের মালিকানাধীন পিএফআই প্রপার্টিজ। ছবি: সানাউল্লাহ সাকিব

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয় ফাউন্ডেশনের অধীনে। ১৮৮২ সালের ট্রাস্ট আইন দ্বারা গঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড। এ আইনের ৫১ ধারার বিধান অনুযায়ী, ট্রাস্টি নিজের লাভের জন্য কিংবা অন্য যেকোনো প্রয়োজনে ট্রাস্টের সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারেন না। কিন্তু প্রাইম এশিয়া ট্রাস্টি বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান এম এ খালেক প্রাইম এশিয়ার ফাউন্ডেশনের অর্থ ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবের পাশাপাশি স্ত্রী, ভাগনে, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, নিজের কোম্পানিসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে স্থানান্তর করেছেন।

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার এ কে এম আশরাফুল হক প্রথম আলোকে বলেন, এম এ খালেক প্রাইম এশিয়া ফাউন্ডেশনে যে চাঁদার টাকা জমা দিয়েছিলেন, তা তুলে নিয়েছেন। ফাউন্ডেশনে থাকা নিজের শেয়ারের টাকাও ব্যক্তিগত কোম্পানিতে স্থানান্তর করেছেন। ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মাথায় নিয়ে গত বছরের নভেম্বরে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এম এ খালেক।

গুলশানের ৯১ নম্বর সড়কের বাড়িসহ ৪০/১ প্লটটি কিনে নিয়েছে ফারইস্ট ইসলামী সিকিউরিটিজ। আগে সেখানে ছিল এম এ খালেকের মালিকানাধীন পিএফআই প্রপার্টিজ। ছবি: সানাউল্লাহ সাকিব
গুলশানের ৯১ নম্বর সড়কের বাড়িসহ ৪০/১ প্লটটি কিনে নিয়েছে ফারইস্ট ইসলামী সিকিউরিটিজ। আগে সেখানে ছিল এম এ খালেকের মালিকানাধীন পিএফআই প্রপার্টিজ। ছবি: সানাউল্লাহ সাকিব


চাপের মুখে ৬০০ কোটি ফেরত
নথিপত্র বিশ্লেষণ ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এম এ খালেক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে প্রাইম ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজের পাওনা ছিল ৩০৫ কোটি টাকা এবং ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সে ৩৭৬ কোটি টাকা।

এর মধ্যে একটি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের তদন্তে এসেছে, এম এ খালেক নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে শেয়ার কিনে ও ঋণ নিয়ে প্রাইম ফাইন্যান্স সিকিউরিটির ৩০৫ কোটি টাকা নিয়ে গেছেন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক থাকা অবস্থায় তিনি এ কাজ করেন। পরে প্রতিষ্ঠানটি বড় ধরনের সংকটে পড়লে এর দায়িত্ব নেয় ইস্ট কোস্ট গ্রুপ।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, উচ্চপর্যায়ের চাপে পড়ে এম এ খালেক এই টাকা ফেরত দিয়েছেন। প্রাইম ফাইন্যান্স সিকিউরিটি উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এম এ খালেক সব পাওনা শোধ করে দিয়েছেন। এর বেশি কিছু আমরা জানি না।’

একইভাবে উচ্চপর্যায় থেকে চাপের মুখে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের ৩৭৬ কোটি টাকাও জমি–ফ্ল্যাট বিক্রি করে শোধ করেছেন বলে জানা গেছে। এ জন্য গত বছর ডিসেম্বরে এই বিমা কোম্পানির এবং এম এ খালেকের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়।

চুক্তিতে এম এ খালেকের মালিকানাধীন সাতটি সম্পদ ফারইস্ট ইসলামী লাইফের নামে স্থানান্তর হয়। এর মধ্যে গুলশানের উত্তর অ্যাভিনিউয়ের ৯১ নম্বর সড়কের বাড়িসহ ৪০/১ প্লটের দাম ধরা হয় ১০০ কোটি টাকা, গুলশানের ৬১ নম্বর সড়কের বাড়িসহ ১/এ প্লটের দাম ধরা হয় ৬৫ কোটি টাকা, ফারইস্ট ইসলামী লাইফে থাকা শেয়ারের দাম ধরা হয় ৯৪ কোটি টাকা, প্রাইম ব্যাংকে থাকা শেয়ারের দাম ধরা হয় ৩০ কোটি টাকা, প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজে থাকা শেয়ারের দাম ধরা হয় ১০ কোটি টাকা, বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের লাইট হাউসের ১১ হাজার বর্গফুটের দুটি ফ্লোরের দাম ধরা হয় ২৫ কোটি টাকা, গুলশানের ১১৭/১২৩ নম্বর সড়কের ৩১ নম্বর বাসার ২৪০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম ধরা হয় ৩ কোটি টাকা।

সম্প্রতি এসব ঠিকানা ঘুরে দেখা গেছে, গত এক বছরে প্রতিটি সম্পদের মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। কোনোটির মালিকানা পেয়েছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ। আবার ফারইস্ট ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামও কিনে নিয়েছেন কোনোটি।

বারিধারার ডিপ্লোম্যাটিক জোনের ৬ নম্বর সড়কের বাসায় থাকেন এম এ খালেক। ছবি: সানাউল্লাহ সাকিব
বারিধারার ডিপ্লোম্যাটিক জোনের ৬ নম্বর সড়কের বাসায় থাকেন এম এ খালেক। ছবি: সানাউল্লাহ সাকিব

গুলশানের ৬১ নম্বর সড়কের ১/এ প্লটে গিয়ে দেখা গেছে, মাস দুয়েক আগে সেখানে হেয়ার ফোর্ট নামে ছেলেদের একটি পারলার চালু হয়েছে। আবার একটি আবাসিক হোটেলও রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পারলারের কর্মকর্তারা জানান, নজরুল ইসলাম এই বাড়ির মালিক। এখন অন্যরা দেখভাল করছেন।

আর গুলশানের ৯১ নম্বর সড়কের বাড়িসহ ৪০/১ প্লটে ফারইস্ট ইসলামী সিকিউরিটিজের সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে।

প্রাইম ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এম এ খালেকের নামে ৪৫ লাখ শেয়ার আছে। তা–ও বিভিন্ন ব্যাংকের নামে লিয়েন করা। অর্থাৎ এসব শেয়ারের অধিকার এম এ খালেকের নিয়ন্ত্রণে নেই।

নানামুখী চাপের কারণে এ প্রতিষ্ঠানের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলেও বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ফেরত দিচ্ছেন না এম এ খালেক। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে এম এ খালেকের সঙ্গে গত ২০ নভেম্বর থেকে এ প্রতিবেদক যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করেন। তাঁর মুঠোফোনে কয়েক দফা খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠানো হয়। প্রথম কয়েক দিন তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন চালু ছিল। বক্তব্য জানতে এ প্রতিবেদক ফোন ও এসএমএস দেওয়ার পর এখন সেটি বন্ধ। তাঁর বারিধারার ডিপ্লোম্যাটিক জোনের ৬ নম্বর সড়কের বাসায় একাধিকবার গিয়েও দেখা করা সম্ভব হয়নি।

এখনই সময়
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এভাবে শত শত কোটি টাকা বের করে নেওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, যেহেতু ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান সবখানেই তাঁর আঁচড় পড়েছে, তাই এখনই সময় তাঁর প্রকৃত আয়ের হিসাব খতিয়ে দেখার। মনে হচ্ছে, সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের আয়–ব্যয় খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন এটাকে নতুন অ্যাজেন্ডা হিসেবে নিতে পারে।

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণে যে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো আছে, সেগুলোর পুরো স্বাধীনতা নেই। যতটুকু আছে, তা অদক্ষতার কারণে প্রয়োগও করতে পারছে না। তা না হলে একজন ব্যক্তি এত টাকা কীভাবে বের করে নিতে পারেন?