দিনাজপুরে ভাতিজার হাতে চাচা খুন

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় মো. শাহাজুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের নন্দনপুর হিন্দুপাড়া গ্রামে পুকুরপাড়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাজুল ইসলামের আপন বড় ভাই ও ভাতিজা পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিহত শাহাজুল একই ইউনিয়নের ছোট চেরাগপুর গ্রামের মো. বাবরউদ্দিনের ছেলে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো উদ্ধার করেছে। তবে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত নিহতের বড় ভাই আহাদ আলী (৬০) এবং তাঁর দুই ছেলে তারেক (২২) ও তাজউদ্দিন (২৫)।

নিহত শাহাজুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী শাহাজুল ইসলাম গাঁজাসহ অন্যান্য নেশাদ্রব্যের ব্যবসা করতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর (শাহাজুলের) দুই কেজি গাঁজা ও কিছু টাকা চুরি হয়। পরে সেই ঘটনায় ভাতিজা তাজউদ্দিন আহম্মেদকে সন্দেহ করে তাঁকে মারধর করেন তিনি (শাহাজুল)। আহত অবস্থায় কয়েক দিন নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরে এসে তাজউদ্দিন হত্যার উদ্দেশ্যে শাহাজুল ইসলামকে খোঁজ করতে থাকেন। বিকেলে পুকুরপাড়ে আমার স্বামীকে একা পেয়ে তাঁকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।’

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার চৌহার বলেন, নিহত শাহাজুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শাহাজুলের বড় ভাই মো. আহাদ আলীর বাড়ি থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি দা, একটি কুড়াল এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি শাবল উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পূর্বশত্রুতার জের ধরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে নিহত শাহাজুল মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং নবাবগঞ্জ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মাদকের মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।