'তুই-তোকারি' নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত

>
  • কিশোর মোমতাহিন হত্যা
  • কুমিল্লা নগরের ঠাকুরপাড়া থেকে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ
  • সে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে
  • আরও দুজনকে ধরা হয়েছে
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লা মডার্ন হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মোমতাহিন হাসান হত্যাকাণ্ডে তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া কিশোরদের একজনকে গতকাল সকালে কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে এবং আরেকজনকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বুধবার সকালে কুমিল্লা নগরের ঠাকুরপাড়া এলাকা থেকে আরেক কিশোরকে ধরা হয়। এই কিশোর বুধবারই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এর সূত্র ধরে বাকি দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জবানবন্দিতে ওই কিশোর জানায়, ‘বড় ভাই, ছোট ভাই’ সম্বোধন ও ‘তুই-তোকারি’ নিয়ে এ বিরোধের সূত্রপাত। হত্যাকাণ্ডে এক কিশোর দুটি টিপ চাকু সরবরাহ করে। গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি মোমতাহিনের পিঠের নিচের বাম পাশ থেকে পেটের কোনা পর্যন্ত এবং ডান পায়ের ঊরুর পেছনের অংশে চাকু দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

এসব বিষয় নিয়ে গতকাল দুপুর ১২টায় কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে কুমিল্লা নগরের ঠাকুরপাড়া এলাকায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মডার্ন হাইস্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। সেখানে বড় ভাই, ছোট ভাই সম্বোধন ও তুই-তোকারি নিয়ে মোমতাহিনের বন্ধু শেখ ফজিলাতুন্নেছা মডার্ন হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. আবিরের সঙ্গে একই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের ঝগড়া হয়। ২১ এপ্রিল শবে বরাতে মোমতাহিন ও আবির নামাজ পড়তে বের হয়। রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার দিকে আগের বিরোধের জের ধরে নগরের দ্বিতীয় কান্দিরপাড় মদিনা মসজিদের সামনে আলিফ টাওয়ারের গলির ভেতর কয়েকজন আবিরকে মারধর করে। মোমতাহিন এর প্রতিবাদ করে। এরপর তাকে ছুরিকাঘাত করে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে মসজিদের মুসল্লি ও তাদের বন্ধুরা মোমতাহিনকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোমতাহিন মারা যায়।

মোমতাহিন আদর্শ সদর উপজেলার ঝাগুরঝুলি বিষ্ণুপুর গ্রামের প্রবাসী আবুল কালাম আজাদের ছেলে। মা নুসরাত জাহান ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে সে নগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউতলা গ্রামীণফোন সেন্টারের ভেতরের গলিতে ভাড়া বাসায় থাকত।