এক মাসে ১২২৭ অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারিছবি: বাসস

হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে শূন্য সহনশীলতা (জিরো টলারেন্স) নীতিতে থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। তিনি জানান, এক মাসের অভিযানে প্রায় ১ হাজার ২২৭টি অবৈধ ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। এ অভিযান এখনো চলছে।

আজ রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘দেশব্যাপী স্বাস্থ্য খাত নিয়ে সাম্প্রতিক কিছু ইস্যু নিয়ে কথা হচ্ছে। ঘটনাগুলো যেকোনো মানুষের মনকেই নাড়া দেবে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আমাকে শক্ত হাতে উদ্যোগ নিতে বলেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, বৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল/ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো আমরা বন্ধ করতে চাই না, তবে এগুলো চালাতে হলে যতগুলো চিকিৎসক, নার্স প্রয়োজন তা থাকতে হবে; যা যা যন্ত্রপাতি থাকার কথা, সেগুলো থাকা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা করা না হলে আমি কঠোর ব্যবস্থা নিতে জিরো টলারেন্স মেইনটেন করব।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো অনুরোধ বা তদবিরেই অবৈধ বা যন্ত্রপাতিহীন ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টার সচল রাখা হবে না। আমরা এক মাসে প্রায় ১ হাজার ২২৭টি অবৈধ ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছি, এখনো অভিযান চলমান আছে। এর সঙ্গে আরও বলে রাখি, বৈধ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত লোকবল ও যন্ত্রপাতি না থাকলে সেগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি রোগীদের সুরক্ষা নিয়ে যেভাবে ভাবছি, একইভাবে আমি চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিয়েও কাজ করছি। ভালো সেবা পেতে হলে ভালো চিকিৎসক লাগবে। ভালো সুযোগ-সুবিধা না পেলে ভালো চিকিৎসক পাওয়াও মুশকিল হবে।’

এ সময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত হাসপাতাল/ক্লিনিক সেবা শাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন।