আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় রাতে সিঙ্গাপুর থেকে আসছে চিকিৎসক টিম
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে রাতে সিঙ্গাপুর থেকে একটি চিকিৎসক টিম আসবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী বলেন, ‘এই হাসপাতালের (জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট) সঙ্গে এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) আছে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, হাসপাতাল থেকে তাদের কেস রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তাদের একজন সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও দুজন নার্স আজ রাতে এসে পৌঁছাবেন। আমরা আশা করি, তাঁরা আগামীকাল থেকেই এই (চিকিৎসক) টিমে জয়েন করতে পারবেন।’
আইএসপিআরের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লাশের সংখ্যা না মেলা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সায়েদুর রহমান বলেন, ‘এখানে আসার আগে আমরা আইএসপিআরের সঙ্গে কথা বলেছি, আইএসপিআরের তথ্যে একটি হাসপাতাল অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেটি হচ্ছে লুবানা। যে হাসপাতালের তথ্য সম্পর্কে আমরা এখানে আসার আগমুহূর্তে যোগাযোগ করেছি। তাদের ওখানে রেজিস্ট্রিতে কোথাও কোনো ডেথ (মৃত্যু) নেই। কিন্তু ওনারা মুখে বলছে, দুজনকে মৃত অবস্থায় তাদের অভিভাবকেরা নিয়ে এসেছিলেন। ওই দুজনের নাম পরে কোনো হাসপাতালে আসেনি। তাই কোনো হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় ওই দুজনের রেকর্ড পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা আপনাদের মাধ্যমে ওই দুই শিশুর অভিভাবকদের অনুরোধ করব, যেন ওনারা এই নামগুলোকে অন্তত তালিকাভুক্ত করতে সাহায্য করেন।’
সায়েদুর রহমান আরও বলেন, ‘এ ছাড়া একটি পার্থক্য হয়েছে, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একজনের মরদেহ সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই সংখ্যা নিয়ে আমাদের সঙ্গে তথ্যের পার্থক্য হয়েছে। আমরা বলেছি ১৫ জন। আমরা আসার আগে নিশ্চিত হয়েছি, সিএমএইচে ১৫ জনেরই মরদেহ আছে। যদিও আইএসপিআরের তথ্যে সেখানে ১৬ জন বলা আছে। তথ্যের পার্থক্যগুলো দূর হতে হয়তো একটু সময় লাগবে।’
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রোগীদের মধ্যে দুজনকে কেবিনে শিফট করা হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ এই সহকারী। তিনি বলেন, ‘এটাকে আমরা একটা উন্নতি বলে মনে করি। এ ছাড়া আমাদের এইচডিইউয়ে থাকা অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া ৩০ জন মোটামুটি গুরুতর। আমাদের দেশের সর্বোচ্চ বিশেষজ্ঞদের এটার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে এবং বিশেষ করে শিশু–বিশেষজ্ঞদের সব ব্রাঞ্চ এখন এই টিমের সঙ্গে যুক্ত। যেহেতু এখানে প্রধানত রোগীরা শিশু।’ হাসপাতালে ওই স্কুলের দুই শিক্ষক এরই মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানান তিনি।
সায়েদুর রহমান বলেন, জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রায় ১০ থেকে ৮০ ধরনের ওষুধ সরঞ্জামাদির প্রয়োজন, যেগুলো মজুত করা আছে এবং আগামী ৭২ ঘণ্টার জন্য প্রস্তুতি আছে।