ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গিকে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আজ বুধবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন
ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গিকে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০২৩’ উপলক্ষে আজ বুধবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত বছরের নভেম্বরে পুলিশের ওপর হামলা ও স্প্রে ছিটিয়ে পুরান ঢাকার সিজেএম আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেন সহযোগীরা। এই দুই জঙ্গি হলেন মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরা যাচ্ছে না, বিষয়টি এমন নয়। আমরা অনেক জঙ্গিকে ধরেছি। অনেক জঙ্গিকে খুঁজে বের করেছি। যারা পালিয়েছে, তাদের ধরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। আমরা তাদের ধরে ফেলব।’

আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, ‘জঙ্গি উত্থান ও তৎপরতা রোধে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। যখনই যে তথ্য তারা পাচ্ছে, সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা কিন্তু জঙ্গিদের মূলোৎপাটন করে নিঃশেষ করে দিতে পারিনি। তবে আমরা সবকিছু কন্ট্রোলে নিয়ে এসেছি। আমাদের নিরাপত্তা সংস্থা বিশেষ করে পুলিশ, র‍্যাব ভালো কাজ করছে বলেই সবকিছু কন্ট্রোলে আছে। আন্তর্জাতিকভাবে সারা বিশ্বে যেভাবে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল, আমাদের দেশকে সন্ত্রাসের মাধ্যমে অকার্যকর করার চেষ্টা হয়েছিল, তবে সবকিছু আমরা কন্ট্রোলে নিয়ে এসেছি।’

বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি দিয়ে উড়ো চিঠি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ রকম অনেক হুমকি আসে। আমরা সবকিছু শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

সামনে জাতীয় নির্বাচন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন এলে সব দলই তৎপর হয়। প্রত্যেক দলই তাদের নির্বাচনী প্রচার চালায়। নিজস্ব কর্মসূচি প্রচার করেন। এটাই যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। নির্বাচন এলে সবার মধ্যে উৎসুক দৃষ্টি থাকে। আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়নি। সবাই কাজ করছে। তাঁর মনে হয়, নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় মারা যাওয়া পুলিশ সদস্যদের স্মরণে প্রতিবছর ১ মার্চ ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ পালন করছে বাংলাদেশ পুলিশ। তবে কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যাওয়া পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ পেতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।

জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কারণে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) উত্তর দিতে বলেন।

তখন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছি। বিবেচনায় আছে। আশা করছি, শিগগিরই আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব। তখন জেলা পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাবে।’