‘লতিফুর রহমান নেচারনোমিকস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হবে ১১ ডিসেম্বর

ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রয়াত লতিফুর রহমান
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত লতিফুর রহমানের নামে প্রবর্তিত ‘লতিফুর রহমান নেচারনোমিকস অ্যাওয়ার্ড’ ঘোষণা করা হবে আগামী ১১ ডিসেম্বর। ঢাকায় ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।

লতিফুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২০২০ সালে এ পুরস্কার চালু করে ভারতের আসাম রাজ্যের পরিবেশবাদী সংগঠন বালিপাড়া ফাউন্ডেশন। বালিপাড়া ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশে সততার সঙ্গে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় একজন ব্যক্তিত্ব। যিনি টেকসই সমাজ গঠনের লক্ষ্যে অক্লান্ত কাজ করে যাওয়ার পাশাপাশি হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলে সর্বোচ্চ নৈতিকতা ও সততার চর্চা করে গেছেন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সিলেট, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও খুলনার সুন্দরবন এলাকায় বাংলাদেশের সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় কাজ করার জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হবে।

এ পুরস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা এবং সেসব সম্প্রসারণে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের উৎসাহিত করা হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দশম বালিপাড়া ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ডস-২০২২–এ হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সফল মডেলগুলো এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় কাজ করে সবচেয়ে সফল ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এখানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরার পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অবিচলভাবে কাজ করে পরিবর্তন এনেছেন, এমন ব্যক্তিদের একত্র করা হবে। তৃণমূল পর্যায়ের এই নেতারা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ রক্ষার বিষয়গুলোতে স্থানীয়দের সম্পৃক্ত, পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ে উদ্যোগী করা ছাড়াও গ্রামীণ জীবিকার সুযোগ তৈরিতে কাজ করেছেন। স্থানীয় জ্ঞানের সঙ্গে নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে তাঁরা নিজেদের অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন।

বালিপাড়া ফাউন্ডেশন ২০১৩ সালে প্রথম বালিপাড়া ফাউন্ডেশন পুরস্কার ঘোষণা করে। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলে সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অসামান্য ভূমিকা রাখা ১২০ জনকে পুরস্কৃত করেছে সংগঠনটি। পুরস্কারপ্রাপ্ত তৃণমূল পর্যায়ের এসব কর্মী ও নেতার প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত দুই হাজার হেক্টরের বেশি এলাকায় পুনর্বনায়ন এবং ৬০০টির বেশি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের কাজের জন্য ২ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষের জীবিকা সুরক্ষিত হয়েছে।