হৃদ্‌রোগের ‘রিভার্স পিসিআই’ চিকিৎসাপদ্ধতি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থাপন

বিশিষ্ট হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. আফজালুর রহমানছবি: সংগৃহীত

হৃৎপিণ্ডের রক্তনালি বন্ধ হয়ে গেলে বুক না কেটে পারকিউটেনিয়াস করোনারি ইন্টারভেনশন (পিসিআই) পদ্ধতিতে রক্তনালির ব্লক দূর করার প্রয়োজন হয়। এ জন্য করোনারি স্টেন্ট (হার্টের রিং) লাগিয়ে চিকিৎসার দরকার পড়ে। কার্ডিয়াক ক্যাথ ল্যাবে দক্ষ ইন্টারভেনশনাল হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ, ক্যাথ ল্যাব টেকনিশিয়ান এবং নার্সের সমন্বয়ে গঠিত দলের মাধ্যমে এই চিকিৎসা সম্পন্ন করতে হয়।

বাংলাদেশে এমন ‘পিসিআই’ দলের সংখ্যা সীমিত। এই সীমিতসংখ্যক দলের মাধ্যমে কীভাবে বেশি হৃদ্‌রোগীকে দেশব্যাপী চিকিৎসার আওতায় আনা যায়, তার একটা পদ্ধতি বের করতে গবেষণা করেছেন বিশিষ্ট হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. আফজালুর রহমান। তিনি এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন ‘রিভার্স পিসিআই’।

আফজালুর রহমান ১৪-১৭ মে ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি কনফারেন্স, ‘ইউরো পিসিআর ২০২৪’– এ তাঁর গবেষণার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন। এই গবেষণায় তিনি দেখিয়েছেন, যেখানে ইন্টারভেনশনাল হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ, দক্ষ ক্যাথ ল্যাব টেকনিশিয়ান এবং নার্স নেই, সেখানে ক্যাথ ল্যাব প্রতিষ্ঠা করে কীভাবে এই পদ্ধতিতে করোনারি স্টেন্ট বা রিং প্রতিস্থাপনে সফল হওয়া যায়। তিনি এখানে ক্যাথ ল্যাব টিম স্থানান্তরের কথা বলেছেন। অর্থাৎ একই টিম কয়েকটি ক্যাথ ল্যাবে রোগীর সেবা দেবেন। তিনি বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড হাসপাতালে ২৭১ জন রোগীর ওপর এই গবেষণা করে দেখিয়েছেন, শুধু ক্যাথ ল্যাব আছে, কিন্তু দক্ষ জনবল নেই, এমন জায়গায় স্থানীয় চিকিৎসকের সহযোগিতায়, প্রয়োজন এবং সময়মতো অন্য স্থান থেকে টিম ওই ল্যাবে এনে কাঙ্ক্ষিত সেবা সফলভাবে দেওয়া সম্ভব। গবেষণার ফলাফল সম্মেলনের অনলাইন জার্নালে শিগগিরই প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আফজালুর রহমানের এই গবেষণার ফলে বাংলাদেশে হৃদ্‌রোগ চিকিৎসার নতুন সম্ভাবনা নিয়ে সম্মেলেন আলোচনা হয়।