ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতাবিষয়ক প্রথম যৌথ কমিটির তিন দিনব্যাপী সভা বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। এ সভা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সামরিক সম্পর্ক জোরদার ও পারস্পরিক প্রতিরক্ষা লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হবে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় সৌদি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল হামেদ রাফি আল-আমরি এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এএফডির প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান। বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিদল ভ্রাতৃত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার চেতনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের রূপরেখা চূড়ান্ত করেন।
সৌদি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকা মেজর জেনারেল হামেদ রাফি আল-আমরি সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তথা বাংলাদেশের জনগণকে উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। মুসলিম ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ বাংলাদেশ ও সৌদি আরব ভবিষ্যতেও সামরিকসহ সব ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন।
সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান এই বৈঠককে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি উভয় দেশের পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভ্রাতৃত্ব ও শান্তির অঙ্গীকার তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। উভয় দেশের জনগণের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা এবং ভবিষ্যতে সৌদি প্রতিনিধিদলকে পুনরায় বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
শেষে বাংলাদেশ-সৌদি আরব প্রতিরক্ষা সহযোগিতাবিষয়ক যৌথ কমিটির দ্বিতীয় সভা ২০২৬ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া উভয় দেশের প্রতিনিধিরা একটি অফিশিয়াল ফটোসেশনে অংশ নেন। সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের সম্মানে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের উদ্যোগে সন্ধ্যায় নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।