ইনমা পুরস্কার প্রাপ্তিতে প্রীতিসম্মিলন
চাপ উপেক্ষা করে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করে যাবে প্রথম আলো
আনন্দ প্রিয়জনদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিলে তা আরও মহিমান্বিত হয়ে ওঠে। সে জন্যই প্রথম আলো বিশ্বমঞ্চ থেকে সেরার মর্যাদাময় পুরস্কার অর্জনের আনন্দ উদ্যাপন করতে আয়োজন করেছিল প্রীতিসম্মিলনের।
দেশবাসী ও প্রথম আলোর পাঠক–শুভানুধ্যায়ীরা ইতিমধ্যে জেনেছেন, এ বছর বিশ্বের বৃহত্তম মিডিয়া সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন (ইনমা) প্রদত্ত তিনটি পুরস্কার পেয়েছে প্রথম আলো। এই সম্মানজনক অর্জন প্রথম আলোর শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে উদ্যাপনের জন্যই বনানীর শেরাটন হোটেলের বলরুমে গতকাল রোববার বিকেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
বৃষ্টিভেজা দিনের শেষে অতিথিরা অনুষ্ঠান কেন্দ্রে এলে তাঁদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। হলরুমটি সাজানো হয়েছিল সাদা ছাদ থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া সাদা রঙের স্ক্রলে। এই স্ক্রলগুলোতে ছিল প্রথম আলোর বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা, ভাষার প্রতি যত্ন নেওয়া, অ্যাসিড–সন্ত্রাস প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতিসহ সমাজ ও সংস্কৃতিতে প্রথম আলোর নানামুখী কার্যক্রমের সারসংক্ষেপ। মঞ্চও সাজানো হয়েছিল প্রশস্ত সফেদ জমিনে প্রথম আলোর লোগোতে থাকা উদিত সূর্যের নকশায়। মাঝখানে ছিল ডিজিটাল পর্দা। সেখানে ফুটে উঠেছিল অতিথিদের অভিবাদন জানানোর বাণী। শুভ্র সাজসজ্জা অনুষ্ঠানে এক স্নিগ্ধতার পরশ বুলিয়ে দিয়েছিল।
অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাসহ অগ্রগণ্য শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, নারীনেত্রী, লেখক, শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আইনজীবী, অধিকারকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনাড়ম্বর ও আন্তরিকতায় উষ্ণ অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের স্বাগত জানান প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ। তিনি বলেন, প্রথম আলো ১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বর আত্মপ্রকাশের পর থেকেই সত্যের প্রতি অঙ্গীকার নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় কঠোর দমন-পীড়নের মধ্যেও প্রথম আলো তার পথ থেকে সরে আসেনি। এই বস্তুনিষ্ঠতারও পুরস্কার এসেছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে।এরপর ইনমা ও প্রথম আলোর ভূমিকা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ইনমা পুরস্কার গ্রহণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। তিনি বলেন, বিশ্বের ১০০টি দেশের ১ হাজারের বেশি সংবাদমাধ্যমের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন (ইনমা)। তারা ১৯৩৭ সাল থেকে সংবাদমাধ্যমের নানা ধরনের অনন্য উদ্যোগের স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যমগুলোতে উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও শ্রেষ্ঠ চর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয় গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড। এটি গণমাধ্যমের জন্য সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
বিভিন্ন দেশের পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, টেলিভিশন ও রেডিওর জন্য অন্যতম সম্মানজনক এই প্রতিযোগিতায় এবার ৪৯টি দেশের ২৮৬টি সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠান থেকে জমা পড়ে ৮৩৯টি উদ্যোগ। এর মধ্য থেকে ১৯৮টি উদ্যোগকে ‘ফাইনালিস্ট’ (প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে স্থান পাওয়া) নির্বাচিত করে বিশ্বের ২৬টি দেশের ৬০ জন সংবাদমাধ্যম নির্বাহীর সমন্বয়ে গঠিত জুরিবোর্ড (বিচারক প্যানেল)। সেখান থেকে ৭টি বিভাগে ২০টি শ্রেণিতে পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রথম আলো মোট তিনটি পুরস্কার পেয়েছে। ‘বেস্ট আইডিয়া টু এনকারেজ রিডার এনগেজমেন্ট’ শ্রেণি বা ক্যাটাগরিতে (ন্যাশনাল ব্র্যান্ড) প্রথম পুরস্কার পেয়েছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সাহসী সাংবাদিকতা, তরুণ পাঠকদের যুক্ততা ও পরবর্তী নানামুখী উদ্যোগের জন্য। এই শ্রেণিতে পেরুর এল কমার্সিও গ্রুপ দ্বিতীয় এবং নরওয়ের শিবস্ট্যাড মিডিয়া তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে।
এ ছাড়া ‘বেস্ট ইউজ অব অ্যান ইভেন্ট টু বিল্ড আ নিউজ ব্র্যান্ড’ শ্রেণিতে (ন্যাশনাল ব্র্যান্ড) ‘জাতীয় স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াড’ উদ্যোগের জন্য তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে প্রথম আলো। এই শ্রেণিতে প্রথম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং দ্বিতীয় হয়েছে ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস।
সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি হলো ইনমার ‘দক্ষিণ এশিয়ার সেরা’র পুরস্কার। এতে বিশ্বের ছয়টি অঞ্চল থেকে ছয়টি উদ্যোগকে সেরা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। দক্ষিণ এশিয়া থেকে নির্বাচিত করা হয় প্রথম আলোকে। এই পুরস্কারও এসেছে জুলাই আন্দোলন নিয়ে প্রথম আলোর সাহসী সাংবাদিকতার পাশাপাশি বহুমাত্রিক আয়োজনের জন্য। এর আগে বাংলাদেশের কোনো সংবাদপত্র বা সংবাদমাধ্যম দক্ষিণ এশিয়ার সেরা তো বটেই, কোনো বিভাগেও সেরা পুরস্কার পায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের এডিসন হোটেলের বলরুমে গত ২২ মে গণমাধ্যমের বিশ্ব কংগ্রেসে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রথম আলো সম্পাদক যখন একের পর এক পুরস্কার প্রাপ্তির কথাগুলো বলছিলেন, অতিথিরা স্বতঃস্ফূর্ত করতালিতে প্রথম আলোকে অভিনন্দিত করেন।
মতিউর রহমান অনুষ্ঠানের অতিথি, প্রথম আলোর সব শুভানুধ্যায়ী, বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক এবং বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও সব আহত ব্যক্তির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার সেরা বা একটা বিভাগের প্রথম পুরস্কার পাওয়া আনন্দের বিষয়। তবে আমাদের কাছে এর চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো যে বিষয়ে সাংবাদিকতার জন্য আমরা এই পুরস্কার পেয়েছি। জুলাই-আগস্ট মাসে যে অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে, সে বিষয়ে প্রথম আলোর ভূমিকা থেকেই এই স্বীকৃতি এসেছে। গণ-আন্দোলনের দিনে পেশাদারির সঙ্গে নির্ভুলভাবে সত্য অনুসন্ধান এবং ভয়ভীতি, চাপ উপেক্ষা করে তা প্রকাশ করার জন্য ইনমার এই বৈশ্বিক স্বীকৃতি।’ তিনি বলেন, অতীতের মতোই প্রথম আলো আগামী দিনগুলোতেও সব ভয়ভীতি, চাপের কাছে অবনত হবে না। সাহসিকতার সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করে যাবে।
অতিথিদের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং পরে এসে যোগ দেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তাঁদের পক্ষ থেকে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এই অর্জনের জন্য প্রথম আলোকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন বাস্তবতা নতুন চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের অনেক রকম ভাবনা, অনেক রকম চাহিদা রয়েছে। তাঁরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন সবকিছুর সমন্বয় করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
অতিথিদের মধ্য থেকে মঞ্চে এসে প্রথম আলোর এই অনন্য অর্জনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সংক্ষিপ্ত মন্তব্য করেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, প্রথম আলো তার বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য দেশের পাঠকদের প্রিয় পত্রিকা হয়ে উঠেছে। এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে স্বীকৃতি এল। দেশে শীর্ষ স্থানে ছিল, আছে এবং থাকবে।
অধ্যাপক পারভীন হাসান বলেন, ‘আমরা জানলাম কত চাপের মধ্যে থেকে প্রথম আলো বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করে যাচ্ছে। সম্পাদকের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা, বিজ্ঞাপন বন্ধ, তার মধ্যেও প্রথম আলো তার লক্ষ্য থেকে সরে আসেনি। এ জন্যই এবার দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, ভবিষ্যতে বিশ্বসেরার মর্যাদা লাভ করবে।’
নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘প্রথম আলো কোনো চাপের সামনে আপস করেনি। আমরা ভেতরে থেকে জানি, সংবাদপত্রের নেপথ্যের মানুষগুলোকে কত ভয়ানক চাপের মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়। আমরা প্রথম আলোর সঙ্গে ছিলাম। সম্পাদক মতিউর রহমান অসাধারণ দক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে সেই চাপ সামলে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’
পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য আমরা প্রথম আলো পাঠ করি। পূবালী ব্যাংক পরিবার বরাবরই প্রথম আলোর সঙ্গে আছে। সংবাদপত্রের পাঠক হিসেবে প্রথম আলো না পড়লে আমরা স্বস্তি পাই না। প্রথম আলো পাঠকের প্রথম পছন্দ হয়েই থাকবে।’
একশনএইড বাংলাদেশের প্রধান ফারাহ কবীর বলেন, ‘এই পুরস্কার প্রাপ্তির ফলে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে প্রথম আলোর দায়িত্ব আরও বাড়ল। একই সঙ্গে আমাদেরও প্রথম আলোর প্রতি প্রত্যাশা বাড়ল।’ দেশের নারীদের অবস্থান, নারীর অধিকার ও নাগরিক হিসেবে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রথম আলো আরও বড় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘প্রথম আলো অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তারা অপ্রিয় সত্য কথা বলে, সে কারণে অনেকের বিরাগভাজন হয়। তবে আমাদের প্রত্যাশা, প্রথম আলোর এই সত্য বলা অব্যাহত থাকবে। এ জন্যই দেশের সংবাদমাধ্যমের ৫৭ ভাগ পাঠক প্রথম আলোর সঙ্গে আছে।’ পুরস্কার প্রাপ্তিতে প্রথম আলোকে তিনি অভিনন্দন জানান।
অভিনয়শিল্পী আফজাল হোসেন বলেন, বিশ্ব পরিমণ্ডল থেকে দেশের একটি সংবাদপত্র সেরার পুরস্কার অর্জন করেছে, এটা সার্বিকভাবে সারা দেশের জন্যই গৌরবজনক।
আইনজীবী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মানজুর আল মতিন বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের দিনগুলোতে তিনি চ্যানেল ২৪-এ একটি টক শো করতেন। তখন সরকারের গোয়েন্দা মহল থেকে চাপ আসত অনুষ্ঠান না করার জন্য। এ পরিস্থিতিতে তাঁরা প্রথম আলোর সংবাদ পাঠ করতেন।
কথোপকথন পর্বের শেষে ছিল লালন সাঁইয়ের গান। শিল্পী অনিমেষ রায় গেয়ে শুনিয়েছেন ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’ আর ‘মানুষ ছাড়া খ্যাপারে তুই’। গানের সুরের রেশ নিয়ে ঘনিয়ে আসা সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গে অতিথিরা মগ্ন হয়েছিলেন পরস্পরের সঙ্গে কুশল বিনিময় আর সমাজ, সমকাল নিয়ে দীর্ঘ আলাপচারিতায়।
যাঁরা উপস্থিত ছিলেন
বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, অধ্যাপক আইনুন নিশাত, শিল্পী রফিকুন নবী, অভিনয়শিল্পী আবুল হায়াত ও রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, নিরাপত্তা বিশ্লেষক আ ন ম মুনীরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান ও উপ–উপাচার্য সায়মা হক, অধ্যাপক ম. তামিম, অধ্যাপক রুমানা হক, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবুল কাশেম মিয়া, এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কামরুল আহসান, অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, ড. আবদুল্লাহ জামাল, অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন, লেখক মোহিত কামাল, অধ্যাপক তারিক মনজুর, নারী সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরিন হক, নারীনেত্রী ফওজিয়া মোসলেম, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী, শিল্পী অদিতি মহসিন, অভিনয়শিল্পী ত্রপা মজুমদার, লেখক আফসানা বেগম, চিকিৎসক তানজিনা হোসেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন উপস্থাপক হানিফ সংকেত, অভিনয়শিল্পী জাহিদ হাসান ও চঞ্চল চৌধুরী, শিল্পী ওয়ারদা আশরাফ, সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের অধ্যক্ষ ব্রাদার লিও জেমস পেরেরা, চিকিৎসক আহমেদ হেলাল। গ্যালারি কায়ার পরিচালক শিল্পী গৌতম চক্রবর্তী।
অর্থনীতিবিদদের মধ্যে ছিলেন মুস্তফা কে মুজেরি, মোস্তাফিজুর রহমান, রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, ফাহমিদা খাতুন, মামুন রশীদ, সেলিম রায়হান ও মাসরুর রিয়াজ।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছিলেন অ্যাডকম লিমিটেডের চেয়ারপারসন গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু, স্কয়ার ফার্মাসিউটক্যালসের এমডি তপন চৌধুরী, ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী, উত্তরা মটরসের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, কাজী ফার্মস গ্রুপের চেয়ারম্যান কাজী জাহেদুল হাসান, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের এমডি আবদুল মুক্তাদির, প্রাণ–আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান, বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক, ক্রাউন সিমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলমগীর কবির, ওরিয়ন গ্রুপের এমডি সালমান ওবায়দুল করিম, সিটি গ্রুপের এমডি মো. হাসান, ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন হাসান রশীদ, টি কে গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ মুস্তফা হায়দার, ডেফোডিল পরিবারের চেয়ারম্যান সবুর খান, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমডি আশীষ কুমার চক্রবর্তী, ট্রপিক্যাল হোমসের এমডি রবিউল হক, বিটিআইয়ের এমডি এফ আর খান, রূপায়ণ গ্রুপের কো–চেয়ারম্যান মাহির আলী খান রাতুল, র্যাংগস প্রপার্টিজের এমডি মাশিদ রহমান, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, প্রগতি ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান সৈয়দ এম আলতাফ হোসেন, ল্যাবএইডের এমডি এ এম শামীম, সিঙ্গার বাংলাদেশের এমডি এম এইচ এম ফাইরোজ, এসএমসির এমডি সায়েফ নাসির, রিভ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এম রেজাউল হাসান, লা রিভের প্রধান নির্বাহী মন্নুজান নার্গিস, মাত্রার পরিচালক শামসুল আরেফিন, ডটবার্থের এমডি সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন, বিজ্ঞাপনী সংস্থা এক্সপ্রেশনসের পরিচালক সৈয়দ আপন আহসান, এনেক্স কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান, স্কয়ার টয়লেট্রিজের হেড অব মার্কেটিং জেসমিন জামান প্রমুখ।
ব্যাংক ও আর্থিক খাত থেকে উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন, এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম স্বপন, ব্র্যাক ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক মঈনউদ্দীন, ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার, এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মো. মাহবুব উর রহমান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয়, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের এমডি হুমায়রা আজম, ইউসিবির এমডি মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ, মিডল্যান্ড ব্যাংকের এমডি মো. আহসান–উজ জামান, ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ, ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি আহসান জামান চৌধুরী, মাস্টারকার্ডের এদেশীয় ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এমডি মমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
পত্রিকার সম্পাদকদের মধ্যে ছিলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম ও যুগ্ম সম্পাদক আশা মেহরীন আমীন, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, সমকাল সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী। ক্রীড়াবিদদের মধ্যে ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল হক ও হাবিবুল বাশার সুমন।