বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে ‘ডাকাত’ নিহত, সিগারেট-ইয়াবা উদ্ধার

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তফাইল ছবি: প্রথম আলো

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির গর্জনিয়া সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে ডাকাত দলের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গুলিতে নিজাম উদ্দিন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। বিজিবি বলছে, নিজাম ডাকাত দলের প্রধান। আজ সোমবার সকাল ছয়টার দিকে সীমান্তের ভালুখাইয়া বিওপির আওতাধীন গর্জনিয়ার মরিচ্যাচর রাজঘাট নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাত দলের অগ্নিসংযোগে বিজিবি একাধিক মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে।

নিহত নিজাম উদ্দিনের বাড়ি কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে। নিজামের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ছয় মাস আগে কারাগার থেকে জামিনে বের হন।

ডাকাত দলের সঙ্গে বিজিবির গোলাগুলি প্রসঙ্গে জানার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাহল আহমদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সীমান্তে গোলাগুলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির মাদক ও চোরাচালান বিরোধি টহল দলের ওপর নিজাম ডাকাতের দল গুলিবর্ষণ ও বিজিবির মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এ সময় ২০ হাজার ইয়াবা ও ৯৮ কার্টুন বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে কয়েকজন মানুষ বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করে। সঙ্গে ছিল মালামালের বস্তা। এ সময় বিজিবির টহল দল চোরাকারবারিদের থামতে বললে বস্তা ফেলে সবাই রাখাইন রাজ্যের দিকে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি ঘটনাস্থল থেকে ৯৮ কার্টুন বার্মিজ সিগারেট ও ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ডাকাত দলের অর্ধশতাধিক লোক ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিজিবি টহল দলের ওপর হামলা চালায় এবং জব্দ সিগারেট ও ইয়াবা লুটের চেষ্টা চালায়। এক পযায়ে বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টাগুলি ছুড়ে। গোলাগুলির এক পযায়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পেট্রলবোমার নিক্ষেপ করে বিজিবির একাধিক মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। গুলিতে নিজাম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয় লোকজন নিজামকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত নিজামের বাবা বশির আহমদ বলেন, ছয় মাস আগে কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম চলে যায় নিজাম। সেখানে চাকরি করতেন তিনি । কয়েক দিন আগে বাড়িতে বেড়াতে আসে নিজাম। গত শুক্রবার নিজাম খুরুশকুলের বাড়ি থেকে নাইক্ষ্যংছড়িতে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। শুনলাম বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে নিজামের মৃত্যু হয়েছে।