মির্জা ফখরুলসহ আটক নেতাদের মুক্তি দাবি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলরুমে আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তার দলটির নেতাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের এই সংগঠন বলেছে, তথাকথিত রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বসহ সারা দেশে দল ও এর অঙ্গসংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলা দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলরুমে আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, ইউনাইটেড ল ইয়ার্স ফ্রন্টের সহ-আহ্বায়ক আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো. রুহুল কুদ্দুস, ফোরামের সহসভাপতি আবদুল জব্বার ভূঁইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড করার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল বলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়। অভিযোগ করে বলা হয়, ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একের পর এক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করা, বিএনপির মহাসচিবসহ অন্য নেতাদের গ্রেপ্তার, রিমান্ডে নেওয়া, বিএনপি কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রাখা—এসবই জনপ্রিয় দল বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার নীলনকশার অংশ। যাতে বিএনপি এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে চলমান ‘এক দফার’ আন্দোলন থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে গণতন্ত্রের এ লড়াই অব্যাহত থাকবে বলে তাঁদের বিশ্বাস।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বিএনপির মহাসমাবেশের আগের রাতে ককটেল উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে এবং বিভিন্ন পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১ হাজার ২০০-এর বেশি বিএনপি নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়। সারা দেশে ১৭ জন আইনজীবীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য নেতাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিএনপি নেতাদের বাসায় না পেয়ে তাঁদের স্বজনদের ধরে আনা হয়েছে। তথাকথিত ক্রাইম জোন ঘোষণা করে বিএনপির অফিস বন্ধ করে রাখা হয়েছে, যাতে বিএনপি তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে না পারে।

 লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে, বিএনপির মতো একটি জনপ্রিয় দলকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে প্রমাণ করার জন্য তথাকথিত সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের মতো জঘন্য অপরাধের সঙ্গে বিএনপির জাতীয় নেতা এবং অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতাদের আসামি করা হয়েছে। অসংখ্য নেতা-কর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে, যাতে যে কাউকে এসব মামলায় যখন-তখন গ্রেপ্তার করা যায়।’  

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে কথিত ভাঙচুরের ঘটনাটিও এই নাটকের অংশ, যেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিচার বিভাগ থেকে কোনো ন্যায়বিচার না পান। তাঁরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।