সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান জলবায়ু সম্মেলনে (কপ–২৮) ইনোভেশন ইন ডেভেলপিং ফিন্যান্স শাখায় গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ) অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলাদেশ।
লোকাল লিড অ্যাডাপটেশন (এলএলএ) ক্যাটাগরিতে এ চ্যাম্পিয়নশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়ন করা স্থানীয় সরকার ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) প্রকল্প।
প্রকল্পটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), সুইডেন, ডেনমার্ক, জাতিসংঘের মূলধন উন্নয়ন তহবিল (ইউএনসিডিএফ) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোজন ও সহনশীলতা বিনির্মাণে বাংলাদেশের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয়ভাবে পরিচালিত সৃজনশীল, প্রশংসনীয় ও সম্প্রসারণযোগ্য প্রকল্পকে উৎসাহিত করার জন্য এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ও সাধারণ মানুষকে পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করার উদ্দেশ্যে ২০২২ সালে এ পুরস্কার চালু করা হয়।
অর্থায়ন বাড়াতে উদ্ভাবনী পদ্ধতির জন্য বাংলাদেশকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের ৯টি প্রধান ঝুঁকিপূর্ণ জেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষ এ প্রকল্পের আওতায় উপকৃত হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হওয়ার জন্য চার লাখের বেশি পরিবারকে ক্ষমতায়ন করা হয়েছে।
প্রকল্পের সুবিধাভোগী মানুষেরা এখন জলবায়ু-সহনশীল জীবিকায় বিনিয়োগ করতে পারেন। বৈচিত্র্যময় আয়ের উৎস বেছে নিতে পারেন। সেই সঙ্গে অভিযোজনের চর্চা বাড়ানোর জন্য বাজার এবং বিনিয়োগে নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারেন।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, স্থানীয় সরকার ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রকল্পের স্বীকৃতি স্থানীয়ভাবে পরিচালিত জলবায়ু অভিযোজন ও সহনশীলতার প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের ফসল। এ পুরস্কার স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং প্রকল্পের উন্নয়ন অংশীদারদের নিষ্ঠার স্বীকৃতি। এটি জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবনের শক্তিকে একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে।