মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাগেরহাটের ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
ফাইল ছবি

মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাগেরহাটের সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে এ নিয়ে গত এক যুগের বেশি সময়ে ৫৪টি মামলার রায় এল। এসব মামলায় দণ্ডিত আসামি ১৪৯ জন।

আজ যাঁরা দণ্ডিত হলেন, তাঁরা হলেন খান আশরাফ আলী, রুস্তম আলী মোল্লা, শেখ ইদ্রিস আলী, শেখ রফিকুল ইসলাম ওরফে বাবুল, শেখ মো. উকিলুদ্দিন, খান আকরাম হোসেন ও মো. মকবুল মোল্লা। সাত আসামির মধ্যে প্রথম চারজন পলাতক। কারাগারে থাকা অপর তিন আসামিকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাঁদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা। তিন আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম। পলাতক চার আসামির পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

পরে প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সাত আসামিই বাগেরহাটের স্থানীয় রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন। এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, গণহত্যা, হত্যা ও ধর্ষণের মতো সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনে রাষ্ট্রপক্ষ। ট্রাইব্যুনালের রায়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা সব কটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।

তিন আসামির আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম প্রথম আলোকে বলেন, আসামিরা রায়ে সংক্ষুব্ধ। আপিল বিভাগে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।